ঢাকা: নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে প্রায় ১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের চার বছরের তদন্তে এই তথ্য মিলেছে।
ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল বিগত জুলাই'২০১৪ থেকে জুন'২০১৮ পর্যন্ত এই তদন্ত চালায়।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ওই সময়ে নাসির গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ সিএ ফার্মের দেয়া অডিট রিপোর্টের ভিত্তিতে ভ্যাট হিসেবে মোট ২ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার ৮৩৩ টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধ যোগ্য প্রকৃত ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার ৯৩৮ টাকা। এক্ষেত্রে তারা ভ্যাট বাবদ ৩ কোটি ২০ লাখ ৩ হাজার ১০৫ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। এই ফাঁকির ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাসে ২% হারে ১ কোটি ৫২ লাখ ২ হাজার ৮৩৪ টাকা সুদ টাকা প্রযোজ্য।
এছাড়া তদন্ত মেয়াদে প্রদেয় ও চলতি হিসাবের পার্থক্যসহ প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম পাওয়া গেছে। আমদানি পণ্য (স্পেয়ার পার্টস) ক্রয় রেজিস্টারে এন্ট্রি না করে খোলা বাজারে বিক্রি করায় রাজস্ব বাবদ প্রতিষ্ঠানটি কোন ভ্যাট পরিশোধ করেনি। এক্ষেত্রে নাসির গ্লাস ভ্যাট বাবদ ৮ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪ টাকা ফাঁকি দিয়েছে। এই ফাঁকির ওপর কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাট আইন অনুসারে প্রতিমাসে শতকরা ২ টাকা হারে মোট ১ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ২২০ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে।
তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৭৩ টাকা ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার তথ্য মিলেছে।
ফাঁকি দেয়া ওই ভ্যাট আদায়ে আইনানুগ কার্যক্রম নেওয়াসহ মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা উত্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও মনিটরিং করার জন্যও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
এসএমএকে/এমএমজেড