ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সহযোগিতা করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১
আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সহযোগিতা করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়।

অথচ বিদেশ থেকে চড়া দামে আলুর চিপস, প্রিঙ্গলস আমদানি করতে হয়। দেশে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভ্যালু অ্যাডে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহকে মানসম্পন্ন চিপস, প্রিঙ্গলস, ফ্রেঞ্চফ্রাই তৈরি করতে হবে। এছাড়া আলুর বহুমুখী ব্যবহার করে আর কী কী প্রোডাক্ট বানানো যায়, তা খুঁজে বের করতে হবে।

রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আলুর ভালো জাতের অভাবে এতদিন আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বড় বাধা ছিল। ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে। এছাড়া আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি। ফলে প্রাইভেট সেক্টরও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে এ জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণ, ড্রাইমেটারের উপস্থিতি বেশি প্রভৃতি ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অন্য আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হলো নিরাপদ ও রোগমুক্ত আলুর উৎপাদনের নিশ্চয়তা প্রদান। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণীত হয়েছে। টেস্টিং সুবিধা বাড়ানোর জন্য ঢাকার শ্যামপুরে একটি ল্যাব নির্মিত হয়েছে, এটির আধুনিকায়ন চলছে। পূর্বাচলে আরেকটি আধুনিক ল্যাব নির্মিত হবে।

তিনি বলেন, দেশে আলু খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। আবহাওয়া ও মাটি আলু চাষের অনুকূল। আলুর বাজার ও চাহিদা বাড়াতে পারলে উৎপাদন অনেকগুণে বাড়ানো সম্ভব। এ বছর আলুর দাম কম। কৃষক ও কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা আলু বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য ফ্রেশ আলু ও প্রক্রিয়াজাত করে দেশে-বিদেশে বাজার বিস্তৃত করতে হবে। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতকে জিএপি বাস্তবায়ন করে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে আলু উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় জানান হয়, দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ৬ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৫ হাজার টন, যার মূল্য প্রায় ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান, ফুড প্রোডাক্টস প্রস্তুতকারী/প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং আলু ও শাকসবজি রপ্তানিকারক সমিতির প্রতিনিধিরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫,২০২১
জিসিজি/জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।