ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে জেল-জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে জেল-জরিমানা

ঢাকা: মিথ্যা তথ্য দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে সরকারি ঋণ আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি ঋণ আইনের মাধ্যমে কত টাকা হল এবং এটি কী অবস্থা বা মুনাফা বা সুদ দেওয়া হল তা জনগণকে ওপেনলি জানানো হবে। কোনো ব্যক্তি সরকারি সিকিউরিটি বা জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতায় ইস্যু করা সার্টিফিকেটের স্বত্ব অর্জনের উদ্দেশ্য মিথ্যা বক্তব্য দিলে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। যে টাকা পয়সা ডিপোজিট করবে তা নিয়ে যদি মিথ্যা কথা বলে, তা কোথা থেকে এলো ইনকাম ট্যাক্স ইস্যু করা না থাকে সে যদি মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে এ শাস্তি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকারি ঋণ অ্যাক্ট ১৯৪৪ ছিল, প্রয়োজনীয় অ্যামেন্ডমেন্ট করে বিভিন্ন সময়ে করা হয়েছে। বাস্তব অবস্থার পরিস্থিতিতে ঋণ পদ্ধতি ও ডিপোজিট সেস্টেমও চেঞ্জ হয়ে গেছে তাই নতুন আইন করতে হচ্ছে। বিস্তারিত আলোচনার পর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আইনের উদ্দেশ্য নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশে সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর জন্য অধিকতর আধুনিক প্রক্রিয়ায় ঋণ সংগ্রহ, টেকসই ঋণ নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং ঋণ কৌশলপত্র প্রস্তুত, ঋণের ঝুঁকি নিরূপণ এবং সরকারের দায় হিসাবায়নের পথ অধিকতর সম্প্রসারণ করা। খসড়া আইনে ৪০টি ধারা আছে, এর মূলবিষয় সরকারের বাজেট ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ঘাটতি অর্থায়ন বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য সরকার কর্তৃক গৃহীত বা দেশীয় বা বিদেশি মুদ্রায় গৃহীত সুদ বা মুনাফাযুক্ত বা সুদ বা মুনাফা মুক্ত যেকোনো প্রকারের ঋণ বিনিয়োগ সংগ্রহ করতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকার যে ঋণটা নেবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর বিপরীতে একটি গ্যারান্টি থাকবে, যে টাকাটা সে দেবে সে টাকা ফেরত পাওয়ার গ্যারান্টি থাকবে। অনেক সময় প্রাইভেট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যারা গ্রাহক তাদের সুবিধা দেয়, যেহেতু সরকার করতে তাই গ্রাহককে এ নিরাপত্তা দেবে, যেভাবেই হোক প্রপার ডিউ তা ফেরত পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।