ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ধামাকার কাছে পাওনা ২০০ কোটি টাকার সুষ্ঠু সমাধান চান সেলাররা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
ধামাকার কাছে পাওনা ২০০ কোটি টাকার সুষ্ঠু সমাধান চান সেলাররা

ঢাকা: মাইক্রোটেড গ্রুপের আওতাধীন ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড পরিচালিত ধামাকা শপিং ডটকমের সঙ্গে লেনদেন বিষয়ে সৃষ্ট জটিলতার সুষ্ঠু সমাধান চান সংশ্লিষ্ট বিক্রেতারা।

শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে ধামাকা শপিং ডটকম সেলার অ্যাসোসিয়েশন।

এ সময় তারা দাবি করেন, বিগত এপ্রিল থেকে ধামাকার নির্দেশিত গ্রাহকদের কাছে পণ্য সরবরাহ বাবদ সেলারদের পাওনা প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এ টাকার সমাধান পাঁচদিনের মধ্যে না করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ইমন বলেন, সেলার বা মার্চেন্ট হিসেবে প্রায় ৬৫০ জন এসএমই উদ্যোক্তা কোম্পানির চেয়ারম্যান দেশের স্বনামধন্য অর্থোপেডিক চিকিৎসক, এভারকেয়ার হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও জয়েন্ট কেয়ার কো-অর্ডিনেটর ডা.এম আলী (মো.মোজতবা আলী) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিমউদ্দিন চিশতীর ওপর আস্থা রেখে এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা দেবকর দে শুভ, ডিএমডি নাজিমউদ্দিন আসিফ, পরিচালক অপারেশন সাফোয়ান আহমেদ, এজিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস আমিনুর রহমান, ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান গংদের অনুরোধ ও উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ধামাকা শপিং ডটকমের নির্দেশনা ও চুক্তি অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছিলাম। ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে পণ্য সরবরাহের জন্য সেলারদের সঙ্গে চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা ছিলো ‘পণ্য সরবরাহের অর্ডারের কপি (পিও) পাওয়ার পর পণ্য সরবরাহ করে বা তাদের নির্দেশিত গ্রাহকদের পণ্য দিয়ে বিল সাবমিট করার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ধামাকা শপিং ডটকম পাওনাকৃত অর্থ পরিশোধ করবে। ’ কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেই ১০ দিনের স্থলে এখন ১৬০ দিনেরও বেশি অতিবাহিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সেলারদের পাওনাকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্যে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও পরিচালন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও মালিক পক্ষের কারো সঙ্গে সরাসরি কোনো স্বাক্ষাৎ বা সমাধান পাইনি। সেলারদের অভিভাবক কোম্পানির চেয়ারম্যান ডা. এম আলীর সঙ্গে সরাসরি স্বাক্ষাতের জন্য তার বাসভবনে যাওয়ার পরও তিনি দেখা করেননি এবং তার সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভা করার জন্য একাধিকবার ই-মেইল ও হোয়াটসআপে সর্বাত্মক চেষ্টা করার পরও কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি। আমাদের পক্ষ থেকে অনুরোধ করার পর কোম্পানির দুইজন মালিকের মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিম উদ্দিন চিশতী মাঝে মাঝে ভার্চ্যুয়াল সভা ও ফেসবুকে লাইভ প্রোগ্রাম করে বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতিই তিনি রক্ষা করেননি।

বিক্রেতারা বলেন, যুব ও এসএমই ব্যবসায়ী হিসেবে আমরা আমাদের শেষ সম্বল, আত্মীয় স্বজন ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ব্যবসা করে আজ রাস্তার ফকির ও নিঃস্ব হয়ে গেছি। ধামাকা শপিং যেন অতীতের মতো কার্যক্রম চালু করে সে বিষয়ে সেলাররা সর্বোচ্চ ধৈর্যসহকারে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সেলারদের পক্ষ হতে এখনও পর্যন্ত কোনো সাধারণ ডায়েরিও করা হয়নি। সেলারদের পাওনাকৃত টাকার বিপরীতে অধিকাংশ সেলার ধামাকা হতে ব্যাংক চেক না পাওয়ায় জসিম উদ্দিন চিশতী ও কর্তৃপক্ষের নিকট সরাসরি ও একাধিকবার ভার্চ্যুয়ালভাবে চেক দেয়ার আবেদন করার পরও এখন পর্যন্ত কোনো চেক দেওয়া হয়নি।

এ সময় বিক্রেতারা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হওয়ার প্রবল আকাঙ্খা ও ইচ্ছে নিয়ে চাকরি না করে উদ্যোক্তা হয়ে ই-কমার্সে পণ্য সরবরাহকারী হিসেবেই ব্যবসা করার জন্য বিনিয়োগ করেছি। এ অল্প সময়ে ও কম বয়সে আমাদের স্বপ্ন যেন ধূলিসাৎ না হয় সে জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংক হিসাব খুলে দেয়াসহ ধামাকা শপিং ডটকম সম্পর্কে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিশেষ অনুরোধ জানান বিক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১

এইচএমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।