খুলনা: হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পর খুলনার বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। দুই দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
চার দিন আগে খুলনার বাজারগুলোতে হু হু করে বেড়েছিল পেঁয়াজের দাম। প্রতিদিন পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সাধারণ ক্রেতারা।
অভিযোগ ছিল, পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও খুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজ না আসার অজুহাতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বাড়ানো হয়েছেছিল পেঁয়াজের দাম। কয়েকদিন ধরে এ পণ্যটির মূল্য হু হু করে বেড়ে চলে। সে সময় দেশি পেঁয়াজেরর দাম খুচরা বাজারে ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, বার্মা থেকে পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। ২১ দিনের মধ্যে আরও কমবে।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) খুলনার খুচরা ও পাইকারি বাজারে খোঁজ খবর নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে কেউ কেউ বলছেন, আসন্ন দুর্গাপূজার কারণে ভারতে থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। যে কারণে দাম বেড়েছিল। পেঁয়াজ এখন ভারতনির্ভর পণ্য। আমাদের দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে দেশের মানুষের চাহিদা মেটানো অসম্ভব। ভারত পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করে দিলে এ পণ্যটির দাম বেড়ে যায়।
ময়লাপোতাস্থ সন্ধ্যা বাজারের সুমী স্টোরের মালিক কাউসার আলী হোসেন বলেন, দেশি জাতের পেঁয়াজ ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায় উঠেছিল। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকা কেজি দরে।
পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা খুলনার বড় বাজারের মেসার্স ফরাজী ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী মো. মিলন ফরাজী বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ভারতীয় পেঁয়াজের পাইকারি দাম ছিল কেজি প্রতি ৩৪-৩৬ টাকা। যা শনিবার বিক্রি হয়েছে ৪০-৪২ টাকা। সোম ও মঙ্গলবার সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৭-৪৮ টাকায়। অনুরূপভাবে ৩৮-৩৯ টাকা কেজি দরের দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা বুধবারও অব্যাহত ছিল। বৃহস্পতিবার থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মিয়ানমারের থেকে পেঁয়াজ এসেছে। যে কারণে ২-৩ টাকা কেজি দরে দাম কমে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
এমআরএম/এসআইএস