ঢাকা: ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের (এনপিএসবি) আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) ব্যবহার করে টাকা উত্তোলন করলে দিতে হবে ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ। এই ২০ টাকার ১৫ টাকা চার্জ করা হবে গ্রাহকের কাছ থেকে, বাকি ৫ টাকা কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক দেবে।
তবে এক ব্যাংকের গ্রাহকরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে টাকা জমা দিলে ২০ টাকা খরচ হবে, যার পুরোটাই কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে দিতে হবে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এটিএম বুথে গিয়ে কার্ডের স্থিতি জানা, ক্ষুদে বিবরণীর জন্য বর্তমানের মতোই গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ টাকা ফি নেওয়া যাবে। পাশাপাশি এটিএম থেকে তহবিল স্থানান্তরে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারবে এটিএম সরবরাহকারী ব্যাংক। দেশের ভেতরে পয়েন্ট অব সেলস (পস) মেশিন ব্যবহার করে নগদ টাকা তুললে প্রতি লেনদেনে গ্রাহকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা চার্জ নেওয়া যাবে।
এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেল ব্যবহার করে মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট থেকে মোট লেনদেনের ন্যূনতম ১.৬০ শতাংশ ডিসকাউন্ট বাবদ আদায় করবে। এর ১.১০ শতাংশ বিনিময় ফি হিসেবে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক দেবে।
এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং তহবিল স্থানান্তরে লেনদেন প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা এবং বাংলা কিউআরে মার্চেন্ট থেকে মোট লেনদেনের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ চার্জ কাটা যাবে। এর মধ্যে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বিনিময় চার্জ বাবদ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২১
এসই/এমজেএফ