ঢাকা: ইভ্যালির অভিযোগ দুদকের শিডিউলভুক্ত নয়। প্রতিষ্ঠানটির মানি লন্ডারিংসহ অন্যান্য অপরাধের বিষয়টি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দেখবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইভ্যালির বিষয়টি দুদকের শিডিউলভুক্ত নয়। মানি লন্ডারিংয়ের কথা যখন হয়েছিল তখন আমরা অনুসন্ধানে নেমেছিলাম। এখন মানি লন্ডারিংসহ ইভ্যালির বিষয়টি অন্যান্য সংস্থা দেখবে। ’
তিনি আরও বলেন, দুদকের তফসিলভুক্ত না হওয়ায় ই-ভ্যালির বিষয়টি এখন আর দুদক দেখছে না, অন্য কোনো সংস্থা দেখছে। ’
রাজারবাগের পীর এবং তার মুরিদচক্রের দ্বারা অবৈধভাবে সাধারণ মানুষের সম্পদ দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক যেকোনো অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে। আদালতের রায় প্রতিপালনে আমাদের অনুসন্ধান করতেই হবে। আদালতের নির্দেশের বিকল্প কিছু নাই।
হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের অবৈধ সম্পদ তদন্তে দুদকের অগ্রগতি সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যানের বলেন, ‘এই তদন্ত চলছে। হেফাজতে ইসলামের বিষয়টি তো অর্থপাচারের। এটাতো খুব কঠিন কাজ, সময় সাপেক্ষ। এটা ধৈর্য ধরে করতে হয়। এটা সঠিক পথেই আছে। যখন প্রয়োজন হয় আমরা ডাকব। আমাদের তো বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়। আমাদের কাছে তো কোনো তথ্য তৈরি থাকে না। ’
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর দুর্নীতির বিষয়টি নিয়েও এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তার বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে। কোনটা কোন পর্যায়ে আছে সেটাতো হুট করে বলা যাবে না। চট করে একটা কাগজ পেলেই অনুসন্ধান হয় না। এটা যাচাইবাছাই করে দেখতে হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা নীরিক্ষা করতে হয়। তারপরই অনুসন্ধান। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২১
এসএমএকে/এমএমএস