ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের এক্সট্রাঅর্ডিনারি ও প্লেনিপোটেনশিয়ারি অ্যাম্বাসেডর ইতো নাওকি বলেন, কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থান সন্তোষজকনক হওয়ার কারণে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা আগের থেকে এখন অনেক সহজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত ‘শোকেস বাংলাদেশ ২০২১: বাংলাদেশ-জাপান ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারি-বেসরকারি খাতের নেতারা সম্প্রতি একটি, দুই দেশের মধ্যকার বিশেষ সম্পর্ক এবং ইতোমধ্যে বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক পরিপূরকগুলো লাভের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন। ক্রম পরিবর্তনশীল বিশ্বের কৌশলগত সুযোগগুলো তুলে ধরে বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যকার সম্ভব্য অংশীদার নিয়ে ভার্চ্যুয়াল ইভেন্টটিতে আলোকপাত করা হয়। সরকারি-বেসরকারি খাত, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, ব্যাংকার ও দু’দেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুত অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধন করবে। ফলস্বরূপ জাপানি বিনিয়োগকারীদের অবকাঠামোগত সমস্যা নিরসন হবে। বিনিয়োগস্থল ও মানবসম্পদের সহজলভ্যতা ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। দেশের কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানও সন্তোষজনক। তাই বলতেই হয় যে, বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা আগের থেকে এখন অনেক সহজ হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান সর্বদাই আমাদের পাশে ছিল। বেশ কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জাপান প্রায় ১৬ বিলিয়নের তহবিল অনুমোদন দিয়েছে। আমাদের পাশে থাকার জন্য তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ এবং দু’দেশের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, জাপানি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংযোগ স্থাপন করতে পারে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। তবে গতি কমানোর কোনো সুযোগ নেই বরং এ সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে তুলতে কাজ করতে হবে।
বিডার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে ৩০০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি আছে এবং আরও অনেকেই ব্যবসায় ইচ্ছুক। বর্তমানে বাংলাদেশ ও জাপান উভয়ই ভালো অবস্থানে আছে। এফডিআই স্টকে জাপানের অবদান ২ শতাংশ হলেও আমরা চাই এটি আরও বৃদ্ধি পাক। আমাদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন ও দক্ষতা ত্বরান্বিত করতে বিডা জাপানকে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয়, জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডর শাহাবুদ্দিন আহমেদ, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়া, জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউজি আন্ডো, মিতসুই অ্যান্ড কো. (এশিয়া প্যাসিফিক) প্রাইভেট লিমিটেডের জেবিসিসিআই ভাইস চেয়ার অ্যান্ড কান্ট্রি চেয়ারপারসন শরিফুল আলম ও মিতসুবিশি করপোরেশন ঢাকা অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মিয়ং-হো লি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২১
এসই/আরবি