ঢাকা: গোয়েন্দা সংস্থার অনুমেদান পেলে এসক্রো সার্ভিসে জমা পড়া কাস্টমারদের ২১৪ কোটি টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কমিটির সমন্বয়ক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহ তদারকি ও পরিবীক্ষণের আওতায় আনা এবং সাম্প্রতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনৈতিক ব্যবসার ফলে যেসব ভোক্তা প্রতারিত হয়েছেন তাদের অধিকার সুরক্ষার বিষয়ে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান বলেন, এসক্রো সার্ভিসে যে ২১৪ কোটি টাকা আটকা আছে, তা সিআইডির ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই বিতরণ শুরু হবে। এটা সিআইডি ফ্রিজ করে রেখেছে। এখানে হয়তো সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ শতাংশ টাকা কাটা হতে পারে। টাকাটা যেহেতু অনলাইনে দেওয়া হয়েছে সেহেতু এটা অনলাইনেই ফেরত যাবে।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুনের পর যে ২১৪ কোটি টাকা আটকে আছে। সেটা আমরা দ্রুত ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। অলরেডি আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের কাছে চিঠি দিয়েছি। সেটা ফ্রিজ করা আছে ডিফ্রিজ হলে আমরা অত্যন্ত ২১৪ কোটি টাকা ভোক্তাদেরকে খুব শিগগিরই ফেরত দিতে পারব। এর আগের যে ২৬০ কোটি টাকা জমা আছে সেটা আমরা অভিযুক্ত যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বললাম, আমাদের যে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট আছে তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর সেই টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৩০ জুলাই ই-কমার্স নীতিমালা প্রকাশের আগে যেসব লেনদেনেও অনিয়ম হয়েছে তা মন্ত্রণালয়ের হাতে আসা তালিকার কোম্পানিগুলোর বিষয়ে বিশ্লেষণের পর বলা যাবে বলে মনে করেন সফিকুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১,২০২১
জিসিজি/এমএমজেড