ঢাকা: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে সমতা ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে এবং ক্রেতাদের অর্থবহ ক্রয়ে উৎসাহিত করতে জনপ্রিয় রিটেইল চেইন স্বপ্নের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাচ্ছে ‘প্রেরণা মাস্ক’।
সোমবার (১ অক্টোবর) স্বপ্ন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেরণা ফাউন্ডেশনের ‘আমরা শিখি, আমরা পারি’ প্রকল্পের কার্যক্রমের আওতায় পিএফডিএ ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা তৈরি করেছে ‘প্রেরণা মাস্ক’। এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য স্বল্প থেকে দীর্ঘ মেয়াদী জীবিকা অর্জনের সুযোগ তৈরি করে তাদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণে কাজ করছে ফাউন্ডেশনটি।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ভাইরাসের বিস্তার রোধে আমাদের বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। এ বৈশ্বিক মহামারি মানুষের জন্য একাধিক নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি করেছে। করোনার এ অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলা করার পাশাপাশি মানুষকে ‘নিউ নরমাল’-এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হচ্ছে। সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীও এতে প্রভাবিত হচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রেরণা ফাউন্ডেশন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেছে। বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এসব কর্মসূচি তাদের সঠিক জ্ঞান ও টেকসই জীবিকার সুযোগ দিচ্ছে।
‘আমরা শিখি, আমরা পারি’ প্রকল্পের অধীনে, বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন জনগোষ্ঠীদের তৈরি পণ্যের জন্য মার্কেট লিংকেজ তৈরিতে কাজ করছে প্রেরণা ফাউন্ডেশন। অর্থবহ ক্রয়ে ক্রেতাদের উৎসাহিত করতে এ পণ্যগুলো অনলাইন এবং অফলাইন রিটেইল চ্যানেলের মাধ্যমে মার্কেটে পৌঁছে দিচ্ছে ফাউন্ডেশনটি।
চার স্তরযুক্ত কাপড়ের তৈরি প্রেরণা মাস্ক নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের ব্যবহারযোগ্য। এ মাস্ক তৈরিতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সার্টিফিকেশন এজেন্সির মাধ্যমে পরীক্ষিত ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রেরণা মাস্কের ভেতরে আছে পলিপ্রোপিলিন দুটি স্তর। মাস্ক পরিধাণে ব্যবহারকারীর সাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে প্রেরণা মাস্কে উপযুক্ত ফিটিংয়ের জন্য রয়েছে মেটাল নোজ-ক্লিপ এবং সঙ্গে আরও আছে অ্যাডজাস্টেবল ইয়ার-লুপ। আরামদায়ক কটন ফ্রেব্রিকের তৈরি প্রেরণা মাস্ক সঠিক নিয়মে ধুয়ে ২০ বার পর্যন্ত পুনঃব্যবহার করা যাবে। প্রেরণা মাস্কের ৬টি এক্সক্লুসিভ ডিজাইন এখন পাওয়া যাচ্ছে স্বপ্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।
শুধুমাত্র স্বপ্নের ক্রেতাদের জন্য নতুন এ মাস্কগুলোর প্রতিটির দাম ৩০০ টাকা। এছাড়াও আগ্রহী ক্রেতারা নিকটস্থ স্বপ্ন আউটলেট থেকে প্রেরণা মাস্ক কিনতে পারবেন।
প্রেরণা মাস্কের প্রচারের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর জন্য সুনিশ্চিত উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রেরণা ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে জনপ্রিয় রিটেইল চেইন ‘স্বপ্ন’। অর্থবহ ক্রয়ের মাধ্যমে, স্বপ্নের সকল ক্রেতারাও প্রেরণা মাস্কের বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন কারিগরদের সমৃদ্ধির যাত্রার অংশ হতে পারবেন। প্রতিটি প্রেরণা মাস্কের ক্রয়, বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে এবং একটি সমতাভিত্তিক ভবিষ্যত গড়তে ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎকে উজ্জ্বল করার লক্ষ্য নিয়ে একাগ্রে কাজ করে যাচ্ছে, প্রেরণা ফাউন্ডেশন। জাতিসংঘ নির্ধারিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বা এসডিজির আওতাধীন উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে সামনে রেখে প্রেরণার সকল কার্যক্রমের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন করার জন্য সামষ্টিক এবং সকল কার্যক্ষেত্রব্যাপী উদ্যোগ গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
যে সকল উদ্যোগ সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের যথাযথ বিজনেস মডেলের আওতাধীন করার মাধ্যমে নিজ নিজ ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে সক্ষম করবে। যে কারণে প্রেরণা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক জোটে তৈরি করছে নতুন নতুন সম্ভাবনা। ২০৩০ সাল নাগাদ সরকারের উদ্দিষ্ট এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা জয়ে এভাবেই তৈরী হচ্ছে একেকটি নতুন সোপান।
ইতোমধ্যেই প্রেরণার উদ্যোগে বিভিন্ন মাল্টি- স্টেকহোল্ডার এবং মাল্টি-সেক্টরাল প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা সম্ভব বলে প্রেরণা ফাউন্ডেশন আত্মবিশ্বাসী।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২১
জেডএ