ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সচিবালয়ে আয়কর তথ্যসেবা কেন্দ্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২১
সচিবালয়ে আয়কর তথ্যসেবা কেন্দ্র

ঢাকা: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ বিভিন্ন তথ্য সেবা দিতে সচিবালয়ে খোলা হয়েছে আয়কর রিটার্ন ও কর তথ্যসেবা কেন্দ্র। করদাতাদের সুবিধার জন্য ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ সেবা।

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবারও আয়কর মেলার আয়োজন করছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। করাদাতাদের সুবিধা দিতে কর অঞ্চলগুলোতে নভেম্বর মাসজুড়ে বিশেষ সেবার আয়োজন করেছে সরকার। তার ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ে খোলা হয়েছে আয়কর রিটার্ন ও কর তথ্য সেবা কেন্দ্র।

বুধবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় আইআরডির কনফারেন্স রুমে স্থাপিত আয়কর রিটার্ন ও কর তথ্য সেবা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উৎসাহ নিয়ে কর তথ্য সেবা কেন্দ্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ বিভিন্ন তথ্য সেবা নিচ্ছেন। সেবাগুলো হলো—রিটার্ন গ্রহণ, ই-রিটার্ন সংক্রান্ত পরামর্শ, আয়কর সম্পর্কিত পরামর্শ/ তথ্য প্রদান, ই-টিআইএন নিবন্ধন এবং আয়কর রিটার্ন, ফর্ম ও চালান সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সেবা আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হবে।

সচিবালয়ে সহকারী কর কমিশনার (কর অঞ্চল-৪) নুসরাত জাহান বাংলানিউজকে বলেন, সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা ও অফিসার্স ক্লাবের সদস্যদের জন্য অফিসার্স ক্লাব, ঢাকায় রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে নভেম্বরে প্রথম দুই সপ্তাহ (১ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত) কর তথ্যসেবা দেওয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন সচিবালয়ে অবস্থিত বুথে নেওয়া হবে। অফিসার্স ক্লাবের সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন অফিসার্স ক্লাবে অবস্থিত বুথে নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন সবরকম সেবা দিচ্ছি। গত বছরের মতো এবারও আয়কর মেলা না হলেও আমাদের আয়োজনের কোনো কমতি নেই। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সেবা দেওয়া হয়।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আয়কর মেলা আয়োজনের পরিবর্তে সব কর অঞ্চল অন্যান্য বছরের মতো জাঁকজমকপূর্ণভাবে এবং উৎসবমুখর পরিবেশে নভেম্বরের ১ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন নিতে করদাতাদের সেবা দেবে। প্রতিটি অফিসে রিটার্ন গ্রহণ বুথ এবং হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন নিতে পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। একই সঙ্গে রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাকে তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের জন্য উৎসাহ দিতে উপহারসামগ্রী দিতে হবে।

এছাড়া সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতিটি কর অঞ্চলের নিজস্ব ওয়েবসাইট তথ্যসহ হালনাগাদ করতে হবে। ওই ওয়েবসাইটে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফর্ম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করতে হবে। কর অঞ্চলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখবে। অন্য মাধ্যমের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।