ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি: জসিম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি: জসিম

ঢাকা: ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হলে দেশে ব্যবসা করার খরচ অন্তত পাঁচ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বিদেশি উদ্যোক্তাদেরও এদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ বাড়বে।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরসহ দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চলে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কয়েকগুণ বাড়বে। তাই এখনই বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) পোর্টস অ্যান্ড শিপিং বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী যানের গতি ঘণ্টা ৪০ কিলোমিটার। এ গতি দ্বিগুণ করা গেলে রপ্তানিখাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ছয় শতাংশ বাড়বে।  

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা রাসায়নিক খালাসের আগে আলাদাভাবে পরীক্ষা করাতে হয়। অথচ, চট্টগ্রাম কাস্টমসে পর্যাপ্ত  পরীক্ষাগার নেই। এ পরীক্ষা করাতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগে। বন্দরসংক্রান্ত এসব সমস্যা সমাধানে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

বন্দরকেন্দ্রীক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান বের করতে স্ট্যান্ডিং কমিটিকে তাগিদ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।  

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ভবিষ্যতে আরও কিছু বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে পারলে, এসব বন্দরের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করা যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি করলে মোংলা বন্দরের তুলনায় দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন। একই দেশের বিভিন্ন বন্দরে ভিন্ন ভিন্ন ভাড়ার হার অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ এএম মাহবুব চৌধুরী বলেন, গত কয়েক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের মুনাফা কয়েকগুণ বেড়েছে। অলাভজনক সেবামূলক সংস্থা হয়েও, মুনাফার পরিমাণ বাড়াতে আবারো ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।  

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ট্যারিফ না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. পারভেজ সাজ্জাদ আকতার বলেন, বেশিরভাগ ট্যারিফ ডলারে পরিশোধ করতে হয়। তাই ট্যারিফ বাড়লে, বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয়ও বাড়বে। এছাড়া বিদেশি জাহাজ মালিকরাও এ সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়ার শঙ্কা তৈরি হবে।

সভায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের গতি বাড়াতে বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহযোগিতা আশা করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
এসই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।