ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড ১৪.৫৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড ১৪.৫৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন

পঞ্চগড়: সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে করোনাকালেও ২০২১ সালে দেশের উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে রেকর্ড পরিমাণ ১৪.৫৪ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে। যা গত বছর (২০২০) ১০.৩০ মিলিয়ন কেজি ছিল।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আল মামুন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বিগত বছরে (২০২১) দেশে চায়ের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত বছর দেশে মোট ৯৬.৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা গত বছরের (২০২০) চেয়ে ১০.১১১ মিলিয়ন কেজি বেশি।

এদিকে, অপর এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকারের আর্থিক প্রণোদনা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান, বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, চা শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২১ সালে দেশের চা উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চা শিল্পের সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলে চাষীদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলের মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে শুধুমাত্র সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে এ বছর (২০২১) গত বছরের (২০২০) তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দেশে ৮৬.৩৯৪ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। এছাড়া ২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬.০৬৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছিল। ২০২১ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে ৯৬.৫০৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে।

>>> আরও পড়ুন: দেশে চা উৎপাদনের নতুন রেকর্ড

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।