ঢাকা: ৩০ জুনের মধ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের গ্রাহকদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার।
তিনি বলেন, জুনের মধ্যে আমাদের সব টাকা ক্লিন (পরিশোধ) হয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসএল কমার্স পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে আলেশা মার্টের গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মঞ্জুরুল আলম শিকদার এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এসএসএল কমার্স পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা আলেশা মার্টের ১০ গ্রাহকের ২৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়।
আলেশা মার্টের কাছে ৭ থেকে ৮ হাজার গ্রাহক টাকা পায় উল্লেখ করে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান বলেন, গ্রাহকদের এ টাকা ফেরত দিতে ২৩০ কোটি টাকা ‘ম্যানেজ’ করতে হবে। ২৩০ কোটি টাকা কোনো না কোনোভাবে ম্যানেজ করতে হবে। আশা করছি, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই আমরা এটির সমাধান করে ফেলতে পারবো। আমরা ওভারকাম করবো, এ দেশে ওভারকাম করতেই হবে।
শুধু গ্রেফতার করা কখনোই সমাধান হতে পারে না উল্লেখ করে মঞ্জুরুল আলম শিকদার বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি ভুল করে থাকে সেও মানুষ, তাকে ব্যবসায়িক ওয়েতে সুযোগ দেওয়া উচিত। আইনের আওতায় তখনই যেতে পারে, যখন সে অপরাধ করেছে। যেমন মানি লন্ডারিং ইস্যু। এটা গ্রহণ করা যায় না। এটি রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আমার টাকা যদি আপনার পকেটেও গিয়ে থাকে, মূল অর্থনীতিতে তো আছে। পলিসিগত ভুলের কারণে হয়তো একজনের টাকা আরেকজনের কাছে চলে গেছে। পলিসি ভুল এক জিনিস, মানি লন্ডারিং অন্য জিনিস।
তিনি বলেন, ওইসব ব্যবসায়ীকে একভাগও ছাড় দেওয়া যাবে না, যে আমাদের দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে মানি লন্ডারিং করে। কিন্তু যে টাকা দেশের মধ্যে থাকবে, সুযোগ থাকবে, সে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করাটা ভালো যুক্তি হতে পারে না। তাদের আমি মনে করি আইনগতভাবে সহায়তা করে সুষ্ঠু ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়া উচিত। ভুলগুলোকে সুধরে দেওয়ার জন্য সুযোগ দেওয়া উচিত।
এসএসএল কমার্স ও আলেশা মার্ট যৌথভাবে যে তালিকা করেছে সেখানে মোট গ্রাহক ৪৮৫ জন। মোট ট্রানজেকশন ১ হাজার ১৪৩টি। মোট অর্থের পরিমাণ ১০ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার ১৩৬ টাকা। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার ১০ জনকে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৬ টাকা হস্তান্তর করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
জিসিজি/আরবি