ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইকমার্স, গ্রাহকের অভিযোগ: হার্ডলাইনে সরকার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
ইকমার্স, গ্রাহকের অভিযোগ: হার্ডলাইনে সরকার অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান

ঢাকা: যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগ রয়েছে ৩১ মার্চের পর তাদের বিরুদ্ধে সরকার হার্ডলাইনে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি সহায়তার শেষ তারিখ হলো ৩১ মার্চ।

এরমধ্যে যদি তারা সাহায্যের জন্য আসেন তাহলে আমরা তাদের সর্বাত্মক সাহায্য করবো। একইসঙ্গে তাদের ব্যাংকিং সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবো। কিন্তু এরপর আমরা আর তাদের বাইরে দেখতে চাই না। তাদেরকে জেলের ভেতরে দেখতে চাই।  

বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে  বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসএসএল গেটওয়ে পেমেন্টে দালাল প্লাসের গ্রাহকদের আটকে থাকা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, সার্বিকভাবে আমার যেটা মনে হয়, ইকমার্সের যে অস্থির অবস্থা। সেখান থেকে পর্যায় ক্রমে আমরা বেরিয়ে আসছি। কিন্তু একটা জিনিস বলতে চাই যারা এখানে বিনিয়োগ করেছেন, অনেকেই ধৈর্যহারা হয়ে গেছেন, ধৈর্যহারা হলেই যে ১০ দিনের মধ্যে ঠিক করে দেব বিষয়টা এতো সহজ না। এখানে অনেক জটিলতা রয়েছে। যেমন কিছু টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে, সে টাকা ফেরত আনতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।  

তিনি বলেন, কিছু টাকা এসএসএল, হস্টার বা অন্য পেমেন্ট গেটওয়েতে আছে। তার চেয়ে গ্রাহকদের দাবি অনেক অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে তাদের নিজস্ব কিছু সম্পত্তি দিয়ে সমন্বয় করার চেষ্টা করছে। আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যে টিম কাজ করছে তাদের মূল ফোকাস হচ্ছে আমরা এদের রিহ্যাব করতে চাই। তারা যাতে ব্যবসায় ফেরত আসতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।  

সরকার আসলে ইকমার্স প্রতিষ্ঠানকে সাপোর্ট করতে চায় উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন,তাদের এ সাপোর্টটা গ্রহণ করা দরকার। গ্রাহকদের যে টাকাটা আটকে আছে সেটা ফেরত দিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। সেটা নিয়েই আমরা কাজ করছি। তবে এ কাজের একটা শেষ আছে। আমরা সারা বছর ব্যাপী এ কাজ করতে পারবো না এজন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইকমার্স প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দিচ্ছি। তারা যোগাযোগ করে একটা প্রসেসের মধ্যে আসুক।

তিনি বলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান কোনোভাবে যোগযোগ না করে বা তাদের প্রতিনিধি যদি এখানে পজিটিভভাবে না আসে। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা আছে ৩১ মার্চের পর তারা বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকবে এটা আমরা চাই না। তারা পালিয়ে যাবে সেটা ভিন্ন বিষয়। অথবা তারা জেলের মধ্যে থাকবে। আমরা হার্ডলাইনে যাবো ৩১ মার্চের পর।  যারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবে আমাদের কাছে সাহায্য চাইবে তাদের আমরা আইনানুগ সাহায্যের চেষ্টা করবো। কিন্তু দেশের ভেতর থেকে লুকোচুরি করবে সেটা হবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
জিসিজি/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।