ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিজেএমসি'র ভাড়া করা মিলে বেড়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
বিজেএমসি'র ভাড়া করা মিলে বেড়েছে কর্মসংস্থানের সুযোগ 

নরসিংদী: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেছেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) ভাড়া করা মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে নতুন করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

 

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদীর পলাশে বাংলাদেশ জুট মিলস লিমিটেডের উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে দু’টি জুট মিল (বাংলাদেশ জুট মিলস লিমিটেড, নরসিংদী এবং কেএফডি জুট মিলস লিমিটেড, চট্টগ্রাম) ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অপর দু’টি জুট মিলের (ক্রিসেন্ট জুট মিলস লিমিটেড, খুলনা ও হাফিজ জুট মিলস লিমিটেড, চট্টগ্রাম) লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া ১৩টি মিলের জন্য দ্বিতীয় ইওল (EoI-Expression of Interest) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ১৮টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫৩টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন করে প্রতিবেদন বিজেএমসিতে দাখিল করেছে। বিজেএমসি মূল্যায়নকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরএফপি (RFP-Request for Financial Proposal) প্রদানের অনুমতি চেয়ে এ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এ পর্যায়ে আরও কয়েকটি মিল ভাড়াভিত্তিক লিজ দেওয়া সম্ভব হলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং এ ক্ষেত্রে অবসানকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাবেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ জুট মিল শ্রমিকদের ৯৯ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয় পত্রে কিছু সমস্যা থাকায় বকেয়া টাকা পরিশোধ করতে একটু সময় লাগছে। দ্রুত সবার বেতন ভাতা পরিশোধ করা হবে।

পরিদর্শনকালে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম, পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহনা আফসানা চৌধুরী, বাংলাদেশ জুট মিলের প্রকল্প প্রধান আবুল কাশেম মোহম্মদ হান্নান ও জুট অ্যালায়েন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউর রহমান।

সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলগুলোর বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ০১ জুলাই থেকে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৫টি জুট মিলের সব স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সব পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় ৩,৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালে ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সব দায় এবং কাঁচা পাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।