ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৩৬ মণের 'ধলাবাবু'কে নিয়েই স্বপ্ন এনামুলের

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২২
৩৬ মণের 'ধলাবাবু'কে নিয়েই স্বপ্ন এনামুলের

ফরিদপুর: নাম 'ধলাবাবু’, ওজন ৩৬ মণ। এই ধলাবাবুকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন খামারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. এনামুল কায়েম।

সাদা-কালো রংয়ের ফ্রিজিয়ান জাতের সুঠাম দেহি ষাঁড়টি এক বছর বয়স থেকেই রোদের মুখ দেখেনি। খামারের ঘরেই আরও ১৬টি গরুর সঙ্গে বেড়ে উঠেছে সে।  

তার হাম্বা ডাকে কানের তালা লেগে এলেও সে কিন্তু বেশ শান্তশিষ্ট। নিজের সঙ্গী অন্য কোনো গরু খামারের ঘর থেকে বের না করলে সে শান্তই থাকে, এমন কী কাউকে আক্রমণ করার চেষ্টাও করে না। স্বাভাবিক সুষম খাবার খেয়েই বেড়ে উঠেছে সে।  

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলার খরসূতি চন্দ কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক (অব.) মো. এনামুল কায়েমের খামারে রয়েছে ষাঁড়টি। তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম আদর করে নাম রেখেছেন ‘ধলাবাবু'। এ নামে ডাক দিলেই সাড়া দেয় গরুটি। ঝর্ণা বেগমই তিন বছর ধরে লালন পালন করছেন ধলাবাবুকে।  

খামারি দম্পতির দাবি গরুটির ওজন হবে আনুমানিক ৩৬ মণ। এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় বিক্রি করতে চান ধলাবাবুকে। বিক্রির জন্য তিনি দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা। গরুটি দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকেই। ইতোমধ্যে খামারেই দাম উঠেছে ১২ লাখ টাকা। তবে এ দামে সন্তুষ্ট নন এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

মো. এনামুল কায়েম জানান, সাড়ে ৩ বছর আগে যশোর থেকে গর্ভাবস্থায় ধলাবাবুর মাকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় কিনে আনেন তিনি। তার নিজের খামারে আনার কয়েক মাসের মধ্যে জন্ম হয় ধলাবাবুর। বাছুরটিকে খুব যত্ন করে লালন পালন করতে থাকেন তার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম।
 
তিন বছরের বিশাল দেহের অধিকারী ধলাবাবু লম্বায় ৮ ফুট আর উচ্চতা ৬ ফুট। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের এক চিকিৎসকের সহায়তায় ফিতা দিয়ে গরুর দৈর্ঘ্য ব্যাসার্ধ মেপে ওজন নির্ণয়ের সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে ধলাবাবুর ওজন হবে অন্তত ৩৬ মণ। এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা। তবে, কোনো হাটে নিয়ে নয়, বাড়ি থেকেই বিক্রির আশা করছেন তিনি।  

শিক্ষক এনামুল কায়েম বলেন, ধলাবাবুকে লালন পালন ও মোটাতাজা করতে তিনি কোনো মেডিসিন বা ইনজেকশন ব্যবহার করেননি, তিন বেলা সুষম খাবার দিয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় ৫'শ টাকা খরচ হয় তার জন্য। কাঁচা ঘাস, গমের ভুষি, খৈল, ধানের কুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে তিনবেলা খাওয়ানো হয় ধলাবাবুকে।

তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েকজন ক্রেতা ইতোমধ্যে বাড়িতে এসেছে, দামও বলেছে। তবে ধলাবাবুকে হাটে তোলার ইচ্ছা নেই আমার, ভালো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করে দেব।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।