ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আইএসও পেলো আট প্রতিষ্ঠান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আইএসও পেলো আট প্রতিষ্ঠান

ঢাকা : খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির জন্য গত অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় আট প্রতিষ্ঠান পেলো আন্তর্জাতিক মান সনদ আইএসও ২২০০। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সেফ ট্রেডিং কর্পোরেশন, প্রতিভা ট্রেডিং, অভিজাত ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, মাসুদ অ্যাগ্রো প্রসেসিং ফুড প্রোডাক্টস, বানী’স ক্রিয়েশন, আয়ুর্বেদীয় ফার্মেসী (ঢাকা), ছিপ ফুড বিডি ও অলওয়েলস মার্কেটিং।


এ নিয়ে দেশের মোট ২১টি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক এই সনদ লাভ করেছে।

সোমবার (০৮ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে এই সনদ তুলে দেয়া হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। বিশেষ অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. রেজাউল করিম।

ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, চলতি অর্থবছরে আরো ৮টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানকে আইএসও ২২০০ সনদ অর্জনে সহায়তা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।

অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো ৫০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে থাকে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের একশ’ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি নিশ্চিত করতে এসএমই প্রতিষ্ঠানসমূহকে সহায়তা করবে এসএমই ফাউন্ডেশন।

জানা গেছে, এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এখন পর্যন্ত ২১টি প্রতিষ্ঠান আভএসও ২২০০ সনদ অর্জন করেছে। এই উদ্যোগের প্রথম সাফল্য আসে ২০১৩ সালে। ওই বছর প্রথমবারের মত এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় চট্টগ্রামের হিফজ অ্যাগ্রো ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ, নারায়ণগঞ্জের নুর ফুডস এবং ধামরাইয়ের মার্কস আইসক্রিম ফ্যাক্টরি আইএসও ২২০০ সনদ অর্জন করে। এরপর ২০১৫ সালে চট্টগ্রামের ওয়েল ফুডস, কুমিল্লার আরকু ফুডস ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকার ইকো টেকনোলজিস, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গ্রীণটেক অ্যাগ্রো এবং ২০১৭ সালে ঢাকার সেঞ্চুরি ফার্মস, নরসিংদীর এফ এম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সাভারের আহমেদ ফুড প্রোডাক্টস, ঢাকার ইনাডা ইনকর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জের কেপিসি ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ঢাকার রাজ কামাল এভারবেস্ট কর্পোরেশন আইএসও ২২০০ সনদ অর্জন করে।

সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ২০২২-২৩ সালে কর্মপরিকল্পনায় আরো ৮টি প্রতিষ্ঠানের খাদ্য নিরাপত্তা মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে আইএসও ২২০০ সনদ অর্জনে সহায়তার লক্ষ্য ঠিক করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং এ লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফাউন্ডেশনের প্রযুক্তি উন্নয়ন উইং।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের মাইক্রো, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যাক্তাদের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএসএমএস), গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি), গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (জিএপি) বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, আন্তর্জাতিক মান সনদ প্রাপ্তিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।  

এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে, বিদ্যমান পণ্যের উন্নয়ন, বহুমুখী পণ্য উৎপাদন, আধুনিক প্যাকেজিং, কারিগরি পরামর্শ ও প্রাতিষ্ঠানিক লিংকেজ স্থাপনে সহায়তা প্রদান। জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬-এ অ্যাগ্রো প্রসেসিং খাতকে উচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ঘোষণা করায় এই খাতের এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপদ পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিপণন, দেশের বাজারে এই খাতের ক্রেতাদের আস্থা অর্জনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের রপ্তানি ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আন্তর্জাতিক মান সনদ আইএসও ২২০০ অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণ করে এসএমই ফাউন্ডেশন।

ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএসএমএস)- আইএসও ২২০০ ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (আইএসও) কর্তৃক প্রকাশিত জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক মানদন্ড, যা খাদ্যের প্রাথমিক উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার খাদ্য গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত সকল স্তরে মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত খাদ্যের মান জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়ায় তা ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২২
জিসিজি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।