ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে ভারতের ট্রানজিট কনটেইনার

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে ভারতের ট্রানজিট কনটেইনার

ঢাকা: ভারতীয় জাহাজ ‘রিশাদ রায়ান’ দুটি ট্রানজিট কনটেইনার বহন করে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। এসব পণ্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহে পরিবহন করা হবে।

 

সোমবার (৮ আগস্ট) এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, খুলনার সহকারী হাইকমিশনার ইন্দরজিত সাগর ও মারস্ক ইন্ডিয়া লিমিটেডের প্রতিনিধিরা। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন এ তথ্য জানায়।

হাইকমিশন জানিয়েছে, কার্গোর এই চলাচল পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে কার্যকর করার নিমিত্তে গৃহীত ট্রায়াল রানের অংশ। ট্রায়াল রানটি মারস্ক ইন্ডিয়া লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত এবং মোংলা-তামাবিল-ডাউকি ও মংলা-বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর রুটে তা পরিচালনা করা হবে।

জাহাজটি গত ১ আগস্ট কলকাতা বন্দর ছেড়ে আসে। সোমবার ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুট হয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। আগামী দিনগুলোতে, ভারতীয় ট্রানজিট কনটেইনার দুটিকে যথাক্রমে তামাবিল-ডাউকি এলসিএস এবং বিবিরবাজার-শ্রীমন্তপুর এলসিএস সড়কের মাধ্যমে পরিবহন করা হবে।

চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে। চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে আগরতলা হয়ে আখাউড়া, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে ডাউকি হয়ে তামাবিল, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে সুতারকান্দি হয়ে শেওলা, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুট।  

২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল মুভমেন্ট ২০২০ সালের জুলাই মাসে সফলভাবে পরিচালিত হয়, যেখানে চারটি কনটেইনার ছিল। এর দুটিতে টিএমটি স্টিল এবং দুটিতে পালসেস্ কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পৌঁছানো হয়।

এই চুক্তির অধীনে পণ্যের ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের জন্য খরচ এবং সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে। এটি বাংলাদেশের লজিস্টিক ও সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির (বীমা, পরিবহন এবং আর্থিক শিল্প ইত্যাদি) জন্য অর্থনৈতিক লাভও তৈরি করবে; কারণ ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য শুধুমাত্র বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার করা হবে।

২০২২ সালের আগস্টের শেষের দিকে মংলা-শেওলা-সুতারকান্দি রুটে আরেকটি ট্রায়াল রান করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে যা এই চুক্তির অধীনে সমস্ত অনুমোদিত রুটে ট্রায়াল রানের সমাপ্তিকে নির্দেশ করবে। দুই সরকারের মধ্যে এই বছরের শুরুর দিকে যে সমঝোতা হয়েছে, সেই অনুযায়ী এর আওতায় পণ্য পরিবহন নিয়মিত চলাচলের জন্য এই ট্রায়ালগুলো শেষ করার পরে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২২
টিআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।