ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিএসইসির ‘স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার’ পেল ১১ প্রতিষ্ঠান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
বিএসইসির ‘স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার’ পেল ১১ প্রতিষ্ঠান

ঢাকা: পুঁজিবাজারের সেরা মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান বা ইন্টারমিডিয়ারিজদের পুরস্কৃত করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে ‘স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার’ পেয়েছে ১১টি প্রতিষ্ঠান।

সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানে তিনটি ক্যাটাগরিতে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড। দ্বিতীয় লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও তৃতীয় হয়েছে গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

মার্চেন্ট ব্যাংকার ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। দ্বিতীয় হয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড ও সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স লিমিটেড। তৃতীয় হয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে প্রথম শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, দ্বিতীয় অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও তৃতীয় হয়েছে আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

স্টক ব্রোকার ও ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এ তিনটি ক্যাটাগরিতে এসব পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ১১০০ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আমরা কাজ করি। এ প্রথম স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করতে পেরেছি। আগামীতে এ প্রতিযোগিতা আমরা আরও বাড়িয়ে দেব। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ক্যাপিটাল মার্কেটকে এগিয়ে নিতে চাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর বিএসইসির ৭৯৯তম সভায় এ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হলো- পুঁজিবাজারে কর্মরত বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন, সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

পুঁজিবাজারে কর্মরত জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের সেবার মান বাড়ানো এবং দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনাও এ উদ্যোগের একটি লক্ষ্য।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২২
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।