ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজশাহীতে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী: ওএমএস চালু হয়েছে রোববার

শরীফ সুমন, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০
রাজশাহীতে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী: ওএমএস চালু হয়েছে রোববার

রাজশাহী: রাজশাহীতে আবারও চড়া চালের বাজার। গত দুই সপ্তাহে এখানে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, ধানের দাম বেড়ে যাওয়া ও চাতাল বন্ধ থাকায় চালের দাম বাড়ছে।


 চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে খোলাবাজারে চাল বিক্রি শুরু করার কথা । কিন্তু রাজশাহীতে তা শুরু হয়েছে রোববার সকালে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রথম দিনে রাজশাহী নগরীর ৩০ ওয়ার্ডের ৩০টি পয়েন্টে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারদের তিন টন করে ৯০ টন চাল দেওয়া হয়েছে। প্রতি কেজি ২৪ টাকা হিসেবে তারা এ চাল বিক্রি শুরু করেছেন। তবে নগরীর আলুপট্টি এবং কাদিরগঞ্জ পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, চালের মান তুলনামূলক ভালো না হওয়ায় ক্রেতা কম। ওএমএস-এর চালের জন্য আগের মতো লম্বা লাইন নেই।

তবে শরীফুল নামের এক ডিলার বললেন ভিন্ন কথা। তার মতে, প্রথম দিন, তাই অনেকে জানতে না পারায় ভিড় কম হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর চালের পাইকারি দোকানগুলোতে রোববার ২৮ জাতের চাল প্রতি বস্তা (৮৪ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার একশ টাকা পর্যন্ত, পারিজা প্রতি বস্তা ২ হাজার ৭৬৫ টাকা থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা। কুষ্টিয়ার মিনিকেট চাল ৩ হাজার ২৭৬ টাকা, নওগাঁর মিনিকেট প্রতি বস্তা ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর হাইব্রিড চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ টাকা বস্তা।

নগরীর খুচরা বাজারে ২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা, পারিজা ৩৪ টাকা, মিনিকেট ৩৮ থেকে ৪২ টাকা, আর হাইব্রিড প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩১ টাকা কেজি। এ দাম গত রমজান মাসের তুলনায় কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা বেশি।

নিউমার্কেট বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী রায়হান আলী বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় মোকামগুলোর চাল শেষ হয়ে এসেছে। এখন বিভিন্ন মোকাম থেকে যে চাল আসছে তার দাম বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে।

এদিকে, নগরীর কাদিরগঞ্জ চালের আড়তের পাইকারি ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান টিপু বাংলানিউজকে জানান, বিভিন্ন কারণে রাজশাহী অঞ্চলের বেশিরভাগ চাতাল এখন বন্ধ। অর্ধেকে নেমে এসেছে চালের সরবরাহ। দাম বাড়ার এটিই মূল কারণ।

কাদিরগঞ্জের অপর ব্যবসায়ী দুলাল বলেন, বাজারে ধানের দাম অনুযায়ী চালের দাম বাড়ছে না। তাই চালের দাম কম হওয়ায় চাতালগুলো চাল উৎপাদন করছে না।

পবা উপজেলার চাতাল মালিক মতিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, আগে ধানের দাম কম ছিল তাই বাজারে চালও কম দামে দেওয়া যেতো। গত এক মাসে ধানের মণ ৮৫০ টাকায় ঠেকেছে। এ দামে ধান কিনে আগের দামে চাল বিক্রি করা সম্ভব নয়।

রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রবিউল আহসান বাংলানিউজকে জানান, ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন করতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার থেকে ওমএমএস চালু করা সম্ভব হয়নি।

তিনি দাবি করেন, যে চাল বিক্রি হচ্ছে তা মান নিয়ন্ত্রিত। তাই এর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।