ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

খুবির বঙ্গমাতা হলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
খুবির বঙ্গমাতা হলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকলেই দেখা মিলবে হলুদ সূর্যমুখী ফুলের সমারোহ। সবুজের মধ্যে হলুদ ফুলগুলো অপরূপ সৌন্দর্যর উৎস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

প্রস্ফুটিত সূর্যমুখীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মৌমাছি-প্রজাপতি যেমন ছুটে আসছে তেমনি বিমোহিত হচ্ছে ছাত্রীরাও। ছাত্রীদের কেউ কেউ আবার সেই সূর্যমুখীর সৌন্দর্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

হলের আশপাশের পতিত ও আগাছাপূর্ণ ঝোপ পরিষ্কার করে সেখানে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বছরজুড়েই বিভিন্ন রকম ফুলগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সালমা বেগম। এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। এজন্যই প্রথমে সেখানে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সূর্যমুখীর বাগানে ফুল ফুটেছে। এ সৌন্দর্য দেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত অতিথিরাও মুগ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বাড়াতে এবারই প্রথম বঙ্গমাতা হলে সূর্যমুখীর বীজ রোপণ করা হয়। যা ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। হলের প্রধান ফটক দিয়ে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা মিলবে সূর্যমুখীর সৌন্দর্য। বঙ্গমাতার ম্যুরালের সামনে ও হলের প্রবেশ পথে, হলের বাম ও ডানপাশে সূর্যমুখীর ছড়াছড়ি।

বঙ্গমাতা হলের মালি অচিন্ত সাগর দাশ। তিনি বলেন, হলের প্রভোস্টের দিকনির্দেশনায় গত বছরের নভেম্বরে সূর্যমুখীর বীজ রোপণ করা হয়। রোপণের প্রায় তিন মাস পর ফেব্রুয়ারিতে সূর্যমুখী ফুল ফুটতে শুরু করে। এ ফুল পুরো মার্চ জুড়ে থাকবে।

তিনি বলেন, এ বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে এক কেজি সূর্যমুখীর বীজ এনে প্রায় ছয় শতক জমিতে রোপণ করা হয়। এতে প্রাকৃতিক কম্পোস্ট সার ব্যতীত অন্য কোনো সার ব্যবহার করা হয়নি, তবুও ফলন আশানুরূপ হয়েছে। আগামীতে এ ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করে আরও বেশি জায়গায় রোপণ করা যাবে।

বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সালমা বেগম বলেন, এখন থেকে সারাবছরই বিভিন্ন রঙের ফুলে বঙ্গমাতা হল প্রাঙ্গণ ফুটিয়ে তোলা হবে। এবারই প্রথম সূর্যমুখীর বীজ রোপণ করা হয়। তাতে ভালো ফুল ফুটেছে। আগামীতে আরও বেশি স্থানজুড়ে সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করা হবে।

তিনি বলেন, ক্যানসার, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রক সূর্যমুখী তেলে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। এ তেলের চাহিদাও ব্যাপক। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বিষয়বস্তুও হতে পারে এ সূর্যমুখী। আগামীতে যদি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় এ ফুল চাষ করা যায়, তবে সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি গবেষণা ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে সূর্যমুখী। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী জমি পতিত না রাখার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা প্রতিপালন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।