ঢাকা: এসএসসিতে এবার অভাবনীয় ফল হওয়া সত্ত্বেও পুরো বিদ্যালয় থেকে একজনও পাস করেনি সারাদেশে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৪টি। অবশ্য গত বছর থেকে এ সংখ্যা কম।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর দেওয়া বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৬ সালে শুন্য পাসের তালিকায় ছিল ১৯৩টি প্রতিষ্ঠান। ২০০৭ সালের এসএসসিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪৮টিতে। ২০০৮ সালে অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৯১টিতে। ২০০৯ সালে হয় ৭২টি, ২০১০ সালে আরও কমে দাঁড়ায় ৪৯টি।
সোমবার প্রকাশিত ফলে দেখা যাচ্ছে, এবার ১৪টি স্কুল থেকে কেউ পাস করেনি। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, শুন্য পাস স্কুলের সংখ্যা কমে এসেছে। সামনে আরো কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে সকালে তাঁর নেতৃত্বে একটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফল হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও বরিশাল কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার মাদ্রাসা, কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল মোট ১৪ লাখ ২০ হাজার ৫৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর