ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

বুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১২
বুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৩

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আহসানউল্লাহ হলের প্রধান ফটকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।



সংঘর্ষে আহতরা হলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মামুন, আইন বিষয়ক সম্পাদক ইমরান ও স্কুলছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শোভন। তারা সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদ গ্রুপের কর্মী।

রাতেই আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতাল চত্বরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আবার ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় একটি গ্রুপ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হল দখল নিয়ে আগে থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এদিন রাতে হলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদ গ্রুপের কর্মীরা। কিছুক্ষণ পর প্রধান ফটকের দিকে সভাপতি মিঠু বিশ্বাসের গ্রুপের কর্মীরা এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের পর আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতাল চত্বরেও দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
 
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, রাত দুইটার দিকে বুয়েটের বেশ কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এ সময় হাপসাতালের ভেতরে প্রবেশ করে জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালায় একটি গ্রুপ। ডাক্তারদের চেম্বারেও ভাঙচুর চালায় তারা। সংঘর্ষের সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। এ ঘটনায় ডাক্তার ও নার্সরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আহতরা জানান, রাতে কোনো কারণ ছাড়াই বুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু বিশ্বাসের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।

বুয়েটের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদ বলেন, ‘আমার কর্মীদের ওপর  অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা। ’
 
এদিকে, সভাপতি মিঠু বিশ্বাস বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই। এ সময় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। ’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধলে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১২

এমএইচ/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।