ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

২০২৩ সালে ৫১৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬০ শতাংশ নারী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
২০২৩ সালে ৫১৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬০ শতাংশ নারী

ঢাকা: ২০২৩ সালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এর প্রায় ৩২.২ শতাংশ অভিমান থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।

আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী।

২৭ জানুয়ারি (শনিবার) সকাল ১১টায় এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জাতীয়, অনলাইন ও স্থানীয় পত্রিকা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।  

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আত্মহত্যা করা মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ২০৪ জন তথা ৩৯.৮ শতাংশ আর ছাত্রী ৩০৯ জন বা ৬০.২ শতাংশ।  

আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ২২৭ জন বা ৪৪.২ শতাংশ। কলেজ শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪০ জন তথা ২৭.২ শতাংশ। মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৪৮ জন তথা ৯.৪ শতাংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৯৮ জন। শতাংশের হিসাবে যা ১৯.১।  

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি ঢাবি ও চবিতে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন, সাধারণ পাবলিক বিশ্বদ্যিালয়ের ১৯ জন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২ জন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ও অন্যান্য ১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।  এরমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গতবছর ৫ জন করে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।  

আত্মহত্যার কারণ কী?
গতবছরে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ অভিমান। এই কারণে গতবছর ৩২.২ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া প্রেমঘটিত কারণে ১৪.৮ শতাংশ, মানসিক সমস্যায় জর্জরিত ৯.৯ শতাংশ, পারিবারিক কলহে ৬.২ শতাংশ, পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১.৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।  

এছাড়া, পড়াশোনার চাপের সম্মুখীন হয়ে ৪.৫ শতাংশ, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে ৩.৫ শতাংশ, পাবলিক পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়ে ১.৮ শতাংশ, যৌন হয়রানির শিকার হয়ে ২.৫ শতাংশ, অপমান বোধ করে ০.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।  

ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ বি এম নাজমুস সাকিব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।