ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেন অমর্ত্য

ডেস্ক রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১২
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হলেন অমর্ত্য

পাটনা নালন্দা আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ‘আচার্য’ হিসেবে মনোনীত হলেন অধ্যাপক অর্মত্য সেন। শুক্রবার গভর্নিং বডির সদস্য তথা সিঙ্গাপুরের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী জর্জ ইয়েও আচার্য হিসেবে অমর্ত্য সেনের নাম ঘোষণা করেন।



ইয়েও জানান, গভর্নিং বডির এই সিদ্ধান্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল অনুমোদন করেছেন। এতদিন অমর্ত্যবাবু নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন।
শুক্রবার থেকে পাটনায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ভনিং বডির দু’দিনের বৈঠকটি শুরু হয়। এটি তৃতীয় বৈঠক। এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ২০১৪ সালের জুলাই মাস থেকে নালন্দার দু’টি শাখায় পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে। গর্ভনিং বডির সদস্য সুগত বসুকে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সুগতবাবু বলেন, “প্রথমে পরিবেশ ও ইতিহাস বিষয়ক দু’টি স্কুলের লেখাপড়া শুরু হবে। তার জন্য আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্র থেকে শিক্ষক নিয়োগ হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া আগামী বছরের জুনের মধ্যেই শেষ করা হবে। প্রতিটি স্কুলের (বিভাগ) জন্য ১৩ জন করে শিক্ষক নিয়োগ হবে। ”

প্রসঙ্গত, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি ‘স্কুল’ তৈরি করা হবে। ‘স্কুল অব ইকনমিক্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ নামে নতুন একটি স্কুল খোলার ব্যাপারে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অর্মত্য সেন বলেন, “এই বিষয়টি বাস্তবভিত্তিক হবে। সেই ভাবেই আমরা ভেবেছি। ”
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলি নালন্দায় পড়ানো যায় কি না তা নিয়ে একটি প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবের জবাবে তাকে জানানো হয় বিষয়টি সদস্যদের ভাবনা-চিন্তায় আছে। তবে এই ব্যাপারে গভর্নিং বডির এক সদস্যের বক্তব্য, “মৌলিক বিজ্ঞান পড়ানো খরচ সাপেক্ষ। বিশেষ করে নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মান নির্ধারণ করা হয়েছে, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিজ্ঞান পড়াতে গেলে যে মানের গবেষণাগারের প্রয়োজন, তা খরচ সাপেক্ষ বিষয়। এই ব্যাপারে আরও ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। ”

বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রায় ৫০০ একর জমির প্রাচীর দেওয়ার কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আপাতত দু’টি স্কুলের জন্য বাড়ি তৈরির নকশা চূড়ান্ত করতে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি প্রতিযোগিতা করা হবে। এর জন্য জুরি নিয়োগ করা হবে। জুরিদের সুপারিশের ভিত্তিতে গর্ভনিং বডির পরের বৈঠকে তা অনুমোদন করা হবে। আগামী বছরের ৪-৫ ফেব্রুয়ারি রাজগিরে পরবর্তী বৈঠক হবে। অর্মত্য সেন বলেন, “আগামী বছরের জানুয়ারিতে নকশা তৈরির প্রক্রিয়াটি শেষ হয়ে যাবে। তারপরে গর্ভনিং বডির অনুমোদনের পরেই ক্যাম্পাস এবং বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে। ”

সৌজন্য: আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, ২০ জুলাই, ২০১২
সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।