ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দুর্গারামপুর স্কুলে ১৩ বছর ধরে ‘মিড ডে মিল’ দিচ্ছে বসুন্ধরা

মেহেদী নূর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৪
দুর্গারামপুর স্কুলে ১৩ বছর ধরে ‘মিড ডে মিল’ দিচ্ছে বসুন্ধরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে দুর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১৩ বছর ধরে ‘মিড ডে মিল’ বা দুপুরের খাবার দিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। ২০১১ সালে সেখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য এই কার্যক্রম চালু করা হয়।

 

ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এক বেলা করে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার পাওয়ায় একদিকে যেমন তাদের পুষ্টির চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে বাড়ছে উপস্থিতির হারও।

 

 

মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। শিক্ষকরা জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী সাধারণত অনুপস্থিত থাকে না।

স্কুলে ক্লাস বিরতির সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়। সকাল ১১টার দিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি, দুপুর ১২টায় তৃতীয় শ্রেণি এবং দুপুর ২টার দিকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হয়।  

এদিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ছিল এক প্যাকেট করে পুষ্টিকর বিস্কুট।

তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ্ আল মাহিন জানায়, তাদের বাড়ি থেকে কোনো খাবার আনতে হয় না। বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত যে খাবার দেওয়া হয়, তা খেয়েই ক্ষুধা মিটে যায়।

 

 

চতুর্থ শ্রেণির মরিয়ম আক্তার জানায়, টিফিনের সময় বিভিন্ন রকমের খাবার দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে ডিম, রুটি, কলা, বিস্কুট, সিঙ্গারা ও ফল। টিফিনের সময় খাবার দেওয়া হয় বলে বাড়িতে গিয়ে খেয়ে আসতে হয় না। স্কুল ছুটি হলে তারপর বাড়ি যাই।

মাহিন ও মরিয়মের মতো অন্য শিক্ষার্থীরাও জানায়, স্কুলে পাওয়া খাবার দিয়েই তাদের ক্ষুধা মিটে যায়, টিফিনের সময় খাওয়ার জন্য বাড়ি যেতে হয় না। টিফিন নিয়ে মায়ের চিন্তাও থাকে না।  

স্থানীয় অভিভাবকরা বাংলানিউজকে জানান, গ্রামীণ পর্যায়ে এমন একটি বিদ্যালয়ে নিয়মিত টিফিন দেওয়ায় তারা অনেক খুশি। বাচ্চাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়ায় একদিকে যেমন তাদের শারীরিক উপকার হচ্ছে, তেমনি বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিনই খাবার দেয়। তাই এখন বাচ্চাদের ক্ষুধা লাগলো কি না সে চিন্তা করতে হয় না।  

 

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনই টিফিন দিয়ে আসছে। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি লেখাপড়ার মানও ভালো হচ্ছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়াও অনেক কমে যাচ্ছে। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

বাঞ্ছারামপুর বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মাইমুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে দুর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত টিফিন দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে দুদিন ডিম ও সিঙ্গারা, দুদিন কলা ও রুটি এবং একদিন বিস্কুট ও ফল দেওয়া হয়। আমাদের দেওয়া প্রতিটি খাবারই মানসম্মত। আমাদের টিফিন দেওয়ার কারণে অভিভাবকরা অনেকটাই স্বস্তিতে থাকেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।