ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘এজ’ প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী শত কিশোরীকে স্বীকৃতি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
‘এজ’ প্রোগ্রাম সম্পন্নকারী শত কিশোরীকে স্বীকৃতি

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ফুলার রোড মিলনায়তনে সম্প্রতি এজ (ইংলিশ অ্যান্ড ডিজিটাল ফর গার্লস এডুকেশন) প্রোগ্রাম সম্পন্নকারীদের নিয়ে একটি গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। অনুষ্ঠানে এজ প্রোগ্রাম সফলভাবে শেষ করা একশ কিশোরীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ও ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী মো. মাহবুব উর রহমান, বাংলাদেশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স এবং স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডিনেটসহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিরা।  

বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে আশঙ্কাজনকভাবে লিঙ্গ-অসমতার বিষয়টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে এসব জনগোষ্ঠীর মেয়েরা নানান বাধার শিকার হচ্ছেন; ইংরেজি বা ডিজিটাল স্বাক্ষরতার মতো প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও অপ্রতুল সুযোগ পাচ্ছেন তারা। শিক্ষাখাতে লিঙ্গবৈষম্যের এই বিষয়টিকে চিহ্নিত করে ব্রিটিশ কাউন্সিল বিভিন্ন অংশীদারের সহযোগিতায় ১২ বছর ধরে বাংলাদেশে এজ প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করে আসছে।

এইচএসবিসি এবং স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা স্পৃহা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ডিনেটের সহযোগিতায় এজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দুই হাজার ৬৪০ জন কিশোরীর কাছে পৌঁছায় ব্রিটিশ কাউন্সিল। গত দুই বছরে ২২০ জন পিয়ার গ্রুপ লিডারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যারা ১১০টি গার্লস ক্লাবের দুই হাজার ৪২০ জন কিশোরী মেয়েকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

এজ প্রোগ্রাম শেষ করা কিশোরীদের উদ্দেশ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘আপনাদের আত্মবিশ্বাস আমাকে উদ্দীপ্ত করেছে, আমি আপনাদের জন্য গর্বিত। আমার পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা আপনাদের শিকড় ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে ভুলে যাবেন না। ’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে এজের মতো কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার জন্য তিনি ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এইচএসবিসিকে ধন্যবাদ জানান।    

অনুষ্ঠানে ২২০ জন পিয়ার গ্রুপ লিডারের (পিজিএল) মধ্যে ঢাকাভিত্তিক একশ জন এজ ক্লাবের সদস্য সনদ ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন। বাকি ১২০ জন পিজিএল ও দুই হাজার ৪২০ ক্লাব সদস্যকে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।