ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পদপদবি পাওয়া মানে রোজগারের ব্যবস্থা নয়: ছাত্রলীগ সভাপতি

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
পদপদবি পাওয়া মানে রোজগারের ব্যবস্থা নয়: ছাত্রলীগ সভাপতি

শাবিপ্রবি (সিলেট): ছাত্ররাজনীতি মানে দম্ভ দেখানো, ক্ষমতার চর্চা করা, ক্যাম্পাস ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করা কিংবা শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করা নয়। ছাত্রলীগে পদপদবি পাওয়া মানে নিজের রুটি রোজগারের ব্যবস্থা করাও নয়।

ছাত্র রাজনীতি হলো এমন একটি রাজনীতি যেটি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে, ক্যাম্পাস স্থিতিশীল ও পড়াশোনার পরিবেশ বজায় রাখবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীসভায় এ কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা সব সময় বলি পলিটিকাল ক্যারিয়ারের চেয়ে শিক্ষার ক্যারিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের সিভিল সোসাইটি মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি মানেই আগামী দিনের নেতৃত্বে তৈরির কারখানা হিসেবে কাজ করা। আমরা মনে করি, এসব রাজনীতির সীমিত সংজ্ঞা। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই সংজ্ঞাগুলোয় পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে আপনারা দক্ষ হবেন, যোগ্য হবেন, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন হবেন। এতে আপনার কমিউনিকেশন স্কিল বাড়বে, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়বে, মানবিক কাজগুলো অনুভব করবেন, লেখাপড়া শেষ করে মানসম্মত চাকরির নিশ্চিত করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আপনারা নিজেদের তৈরি করুন। তবে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতির কার্যকলাপ পরিবর্তন করতে না পারলে ছাত্ররাজনীতি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। সেজন্য মেধাভিত্তিক, সৃজনশীল ও দক্ষতাভিত্তিক নেতৃত্ব তৈরির দিকে মনোযোগ দিয়ে রাজনীতি করতে হবে।

শাবিপ্রবিতে নারী ছাত্রলীগকর্মী না থাকার আক্ষেপ জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে এমন এক গুরুত্বপূর্ণ কর্মীসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই নাজুক। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্তভাবে সংযুক্ত করতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ, আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশ আধুনিক নয়। তাই আমাদের ছাত্রীদের রাজনীতিতে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি।

কর্মী সভায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন,  প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের প্রথম স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে রূপান্তরিত হবে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ প্রযুক্তিগত দিকসহ দেশের অনেক কিছুরই প্রথমের সাক্ষী বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরমধ্যে অন্যতম হলো প্রথম অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড, প্রথমবারের মতো সেমিস্টার পদ্ধতি চালু, ড্রোন উত্তোলন, আন্তর্জাতিক জার্নালে সবচেয়ে বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশ, শিক্ষা ও গবেষণায় উত্তরোত্তর সফলতা বাড়ানো ইত্যাদি। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে, দ্রুত সময়ে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের আশ্বাস দিয়ে ইনান বলেন, দীর্ঘ এক দশক ধরে কমিটি না থাকা গুরুত্বপূর্ণ এ ইউনিটকে আরও গতিশীল করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি গঠন করা হবে। যারা ত্যাগী, স্মার্ট, পরিশ্রমী ও শিক্ষার্থীবান্ধব তাদের নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কমিটি ঘোষণা করা হবে। তাতেই বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে। পাশাপাশি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন আইডিয়া, উদ্ভাবন, শিক্ষা-গবেষণাসহ নানা কাজে অবদান রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে পারবে।

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এ কর্মীসভায় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রিপন মিয়া, আল আমিন রহমান, জয়নাল আবেদীন ও আবু সাঈদ কনক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সবুর খান কলিন্স ও কাজল দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. নাজমুস সাকিব, উপ-দপ্তর সম্পাদক বারেক হোসাইন আপন, সদস্য ইমতিয়াজ রাব্বি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।