ঢাকা: ইসলামি আরবি এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসলামি আরবি এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত মহল দীর্ঘদিন ধরেই ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছিল। দেশে আলিয়া মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৯০০।
তিনি জানান, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় নামের প্রতিষ্ঠানটি চলবে।
এছাড়া এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যপর্ণ (দ্বিতীয় সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০১২-এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে দুটি সংশোধনী আনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি অর্জিত সম্পত্তির দাবিদারদের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০০ দিন অর্থাৎ ১০ মাস করা হয়েছে। দেশে অর্জিত সম্পত্তির পরিমাণ ছয় লাখ ৬০ হাজার একর।
গেজেট প্রকাশে দেরি হওয়ার কারণে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা আরো বলেন, “দেশে যেসব মাদ্রাসা রয়েছে সেগুলোর শিক্ষার মান উন্নত করার জন্যই এই এফিলিয়েটিং ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন করা হচ্ছে। ”
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে কাজ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ও সেভাবেই কাজ করবে। ”
অর্পিত সম্পত্তি আইন সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “গেজেট প্রকাশে দেরি, স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে সময় লাগা ও নথিপত্র সংগ্রহে সময় লাগার কারণে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণের আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ”
এছাড়া রায়ের নকল সংগ্রহের সময়ও ১০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে।
গেজেট জারির দিন থেকে এই সময়সীমা কার্যকর হবে। তবে কেউ যদি আগে আবেদন করে থাকেন তাতে কোনো সমস্যা হবে না।
সংসদে অধিবেশন না থাকায় এই সংশোধনী অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশ করা হবে বলে সচিব জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১২
এসকে/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর