প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা অনিয়ম আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত ত্রিশালের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের এসব অনিয়ম তুলে আনতে সরেজমিন অনুসন্ধানে যায় বাংলানিউজ।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট রহমান মাসুদের অনুসন্ধানের আজ পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব। এতে উঠে এসেছে কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র।
ময়মনসিংহ থেকে ফিরে: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা নিয়োগেও বেশ কিছু অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানা ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে এখানে অযোগ্য-অনভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ।
নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে এসব অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনেকেসহ অভিযুক্তদের অনেকেই এসব অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ায় অনিয়মই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে বোঝা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কৃষিবিদ মো: হুমায়ুন কবীরকে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত হিসেবে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে ৪ বছরের অভিজ্ঞতাসহ শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে মোট ১০ বছরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল।
অথচ অনুসন্ধানে জানা গেছে, শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে হুমায়ুন কবীরের ১ দিনের অভিজ্ঞতাও নেই। উপরন্তু ১৯৯২ সালে স্নাতক পাস করার পর দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০০৭ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি সস্পন্ন করে তিনি ২০১০ সালে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান।
উপজেলা পর্যায়ে কৃষি বিভাগের একটি প্রকল্পে ফিল্ড মনিটরিং অফিসার হিসেবে চাকরি (বেতন স্কেল-১১০০০/- সেকশন অফিসার সমমান) করে তিনি সরাসরি ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান। এছাড়া তিনি অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেছেন তুলনামূলক বিবরণী পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সেখানে সাল তারিখের কোনো উল্লেখ নেই। অথচ তখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একাধিক প্রার্থী থাকার পরও নিয়োগ বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্যের মতামতকে উপেক্ষা করে অযোগ্য প্রার্থীকে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ভিসি নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় দুর্নীতি, অসদাচারণ ও আর্থিক অনিয়মের দায়ে ঢাকা এস এ বি এম কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া আব্দুল হালিমকে। সাময়িক বরখাস্ত থাকা অবস্থায় আব্দুল হালিম ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার আবেদন অগ্রায়ন করে পরবর্তীতে তার ছাড়পত্রও স্বাক্ষর জাল করে দাখিল করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা এস এ বি এম কলেজের নথিপত্র ঘেটে দেখা গেছে যে, সংশ্লিষ্ট কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নাম সাজমুল হক সরকার। কিন্তু তিনি যে ছাড়পত্র দাখিল করেছেন সেখানে স্বাক্ষর রয়েছে জনৈক এম রহমানের।
এছাড়া আব্দুল হালিমের অভিজ্ঞতারও ঘাটতি রয়েছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিলো ১০ বছরের। অধ্যক্ষ হিসেবে প্রশাসনিক কাজে আব্দুল হালিমের অভিজ্ঞতা রয়েছে মাত্র ৪ বছরের। এছাড়া পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সমস্ত খবর তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপন রেখে স্থানীয় এমপি ও ভিসিকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে নিয়োগ হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ।
উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) হিসেবে নিয়োগ পান মো: নজরুল ইসলাম। তিনি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে নিন্মতর বেতন স্কেলে চাকরি করতেন। অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিলো কর্মকর্তা হিসেবে ১০ বছরের, যার মধ্যে সহকারী পরিচালক হিসেবে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা। কিন্তু সহকারী পরিচালক হিসেবে তার অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ করে না। তিনি হিসাবরক্ষক পদে (তৃতীয় শ্রেণীর চাকরি) চাকরির অভিজ্ঞতা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তিনি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে এজিএম হিসেবে ( সেকশন অফিসার সমমানের) চাকরির অভিজ্ঞতা নিয়ে একজন
প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সদস্যকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পদে নিয়োগ লাভ করেন।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) পদের জন্য অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একাধিক প্রার্থী থাকার পরও ভিসি তাকে উপ-পরিচালক পদে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সহকারী রেজিস্ট্রার আনিছুর রহমান ২য় শ্রেণীর সেকশন অফিসার হিসেবে ২০০৭ সালে নিয়োগ লাভ করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে ২০০৯ সালে অবৈধভাবে ১ম শ্রেণীর বেতন স্কেল হাতিয়ে নেন। সহকারী রেজিস্ট্রারের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিলো ৫ বছরের কর্মকর্তার অভিজ্ঞতা। কিন্তু মাত্র ৩ বছরের সেকশন অফিসারের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি প্রশাসনের যোগসাজশে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ হাতিয়ে নেন।
ভয়াবহ দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সহকারী পরিচালক (অডিট) নিয়োগেও। সহকারী পরিচালক (অডিট) হিসেবে ভিসি নিয়োগ দেন রাধে শ্যামকে। রাধে শ্যামের সর্বশেষ কর্মরত প্রতিষ্ঠান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে তিনি উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত থেকে আরেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যবর্তী একাধিক পদ/ধাপ ডিঙিয়ে সরাসরি সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োগের কোনো বৈধ সুযোগ নেই। কিন্তু ভিসি তার নিজ ক্ষমতাবলে এ অনিয়মটি করেছেন।
সূত্রের অভিযোগ, রাধে শ্যামের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা/ সেকশন অফিসার (হিসাব) পদে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী পদে চাকরিরত থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শান্তি নারায়ন ঘোষ রাধে শ্যাম সম্পর্কে আপত্তি জানালে নিয়োগ বোর্ড অন্য একজন যোগ্যতম প্রার্থীর নাম সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে ভিসি নিয়োগ বোর্ডের রেজ্যুলেশন পরিবর্তন করে যোগ্যতম প্রার্থীকে বাদ দিয়ে রাধে শ্যামকে নিয়োগ দানের সুপারিশ করেন এবং সিন্ডিকেটের সভাপতি হিসেবে তা পাশ করিয়ে নেন। এমনকি রাধে শ্যাম বরাবরই পূর্ব প্রতিষ্ঠানের তার কর্মচারীর চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্যই গোপন রাখেন। সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেয়ার বিধান থাকলেও রাধে শ্যাম আজ পর্যন্ত তা জমা দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় ড. নির্মল চন্দ্র সাহাকে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত হিসেবে চাওয়া হয়েছিলো উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে ০৪ বছরের অভিজ্ঞতাসহ পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে মোট ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা। ড. সাহার উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তো দূরের কথা, পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে ১ দিনেরও অভিজ্ঞতা ছিলো না। তার কর্মজীবনের ২০ বছর কেটেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে। মাঝে তিনি কিছুদিন (এক বছরেও কম সময়) পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন, যা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের বিজ্ঞাপনের শর্ত পূরণ করে না। দলীয় বিবেচনায় ভিসি তাকে এ গুরুত্বপূর্ণ পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরিবহন কর্মকর্তা নিয়োগেও নেওয়া হয়েছে জালিয়াতির আশ্রয়। বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট অনুযায়ী নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হবেন সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধান। কিন্তু এ নিয়োগে তৎকালীন পরিবহন প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদাকে নিয়োগ বোর্ডের বাইরে রেখে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রিধারী একাধিক প্রার্থীকে বাদ দিয়ে পরিবহন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।
এছাড়া সেকশন অফিসার হিসেবে আতাউল আযম, গোকুল চন্দ্র বসাক ও রেবেকা সুলতানার নিয়োগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, রাতের অাঁধারে প্রশ্ন ফাঁস করে মোমবাতির আলোয় পরীক্ষা নিয়ে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তারা কৃতকার্য হতে পারেননি বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পদসংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো কিছু বলা না হলেও আতাউল আযমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তি করা হয় নাই এমন পদের বিপরীতে। বিষয়টি নিয়ে সিন্ডিকেট সভা আপত্তি জানালে ভিসি পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় আতাউল আযমের নিয়োগ পাস করিয়ে নেন।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার প্রফেসার আবুল বাসার বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘এসব অনিয়ম সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। এসব বিষয়ে জানেন রেজিস্ট্রার সাহেব। তবে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে আমাদের অনেক সময় মিলে-মিশে কাজ করতে হয়। নিয়ম ভায়োলেট করতে হয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এটা হয়ে থাকে। ’’
তিনি বলেন, ‘‘সিলেকশন কমিটি আমাদের হাতে যেসব প্রার্থী চূড়ান্ত করে দেন, আমরা কেবল তাদের নিয়োগেরই ব্যবস্থা করে থাকি। ’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দেওয়া দলিলপত্র ও প্রমাণাদি আমলে নিলে দেখা যাবে, অভিযোগ গুলো সত্য কিনা। তবে আমিও এসব অভিযোগ শুনেছি। অনেকেই এসব অভিযোগ করেছেন। অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়গুলো সত্য। ’’
অভিযুক্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মো. হুমায়ূন কবির প্রথমে তার নিজেরসহ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ীই এখানে সব ধরনের নিয়োগ হয়েছে। ’’
পরে বাংলানিউজের কাছে প্রতিটি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের উপযুক্ত দলিল আছে বলে তাকে জানানোর পর তিনি বিব্রত হয়ে পড়েন। এরপর বলতে থাকেন, ‘‘অভিযোগতো থাকতেই পারে। কিন্তু সব অভিযোগ কি সবার আমলে নেওয়া ঠিক। অনেক ক্ষেত্রে অনিয়মকেও নিয়ম করতে হয়। ’’
তার নিজের নিয়োগে অনিয়ম সম্পর্কে অবশ্য তিনি কিছু বলতে চাননি। তবে প্রথমে তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হিসেবে পরিচয় দিলেও পরে ট্রেজারার আবুল বাসার তাকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে সংশোধন করে দেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ড. নির্মল চন্দ্র সাহা অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে চার বছরের যে অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছিল, আমার সরাসরি সে অভিজ্ঞতা নেই। তবে ওই জাতীয় অভিজ্ঞতা আছে। ’’
অন্য অভিযুক্তরাও তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। তবে তারা এক প্রকার এর সত্যতা মেনে নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. সৈয়দ গিয়াস উদ্দীন আহমেদ দীর্ঘ দুই মাস পর ক্যাম্পাসে গেলেও আগের মতোই টেলিফোন রিসিভ করা এবং মেসেজের উত্তর দেওয়া থেকে বিরত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘন্টা, আগস্ট ০৮, ২০১২
আরএম/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর