ঢাকা, শনিবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের দলিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১২
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের দলিল

ঢাকা: ময়মনসিংহের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ-দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে বাংলানিউজে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর বের হয়ে আসছে  দুর্নীতির আরও চিত্র।

বাংলানিউজের সংশ্লিষ্ট পাঠকরাই জানাচ্ছেন এসব তথ্য।

তাদের একজন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সুলতান মাহমুদ।  

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগে অনিয়ম হওয়ায় তিনি স্বপ্রনিতভাবে একজন নজরুল গবেষক হিসেবে প্রতিবাদ করেন। অথচ এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অযোগ্য ও জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত একজনকে। এ অভিযোগ সুলতান মাহমুদের নিজের।

বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের কাছে অভিযোগও দায়ের করে করেছেন। আবেদনের একটি কপি ও সংশ্লিষ্ট কিছু কাগজপত্র বাংলানিউজের কাছে পাঠিয়েছেন সুলতান মাহমুদ। এসব নথি ও বাংলানিউজের অনুসন্ধান থেকেও বের হয়ে এসেছে ঘটনার সত্যতা।

যোগাযোগ করা হলে সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে জানান, গত সপ্তাহে তিনি এই আবেদনটি জমা দিয়েছেন।

বাংলানিউজের পাঠকের জন্য অনিয়মের এ দলিল হুবহু তুলে ধরা হলে-

বরাবর
চেয়ারম্যান
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
আগারগাঁও, ঢাকা।

বিষয় : কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক পদে অদ্ভুত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগের প্রতিকার প্রসঙ্গে।

মহোদয়,
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে অধ্যাপক পদে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষ একজন প্রার্থীর যোগ্যতার বিষয়টি মাথায় রেখেই গত ২৫.১০.২০১০ তারিখে ‘ডেইলি স্টার’ পত্রিকায় ব্যতিক্রমধর্মী একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় (সংযুক্তি ১ দ্রঃ)। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ব্যতিক্রমধর্মী এ জন্য যে, বিশেষ প্রার্থীর যেহেতু একটি ৩য় বিভাগ রয়েছে এবং কোনো প্রকাশনা নেই, এ কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩য় বিভাগ সম্পর্কে কোনোকিছুই করা উল্লেখ ছিল না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের অধ্যাপক পদের ক্ষেত্রে যেখানে কমপক্ষে ১০/১২টি প্রকাশনা চাওয়া হয়, সেখানে সঙ্গীত বিভাগে ইচ্ছাকৃতভাবে তা কমিয়ে চাওয়া হয়েছে মাত্র ৬টি প্রকাশনা। জানা যায়, উক্ত পদে মোট চারজন প্রার্থী আবেদন করেন। গত ২৫.০৪.২০১০ তারিখে নিয়োগ বাছাই বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রার্থীদের পত্র প্রেরণ করা হয় এবং তিনজন প্রার্থী উপস্থিত হন। ঐদিন নিয়োগ বাছাই বোর্ডের একজন সদস্য ছাড়া অন্যান্য সকল সদস্য উপস্থিত থাকলেও দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর প্রার্থীদের জানিয়ে দেয়া হয় যে, বোর্ড স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিশেষ পছন্দের প্রার্থী হচ্ছেন শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স শাখার অ্যাকটিং ডিরেক্টর ড. মুশাররাত শবনম। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও নিয়োগের শর্তাদি পূরণ না হওয়ায় নিয়োগ বোর্ডের একাধিক সদস্যের প্রবল আপত্তির কারণে কর্র্তৃপক্ষ সেদিন তাঁকে নিয়োগ দিতে পারেনি এবং এ কারণে উক্ত নিয়োগ বোর্ডের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত উক্ত বোর্ডের কোনো সভাও আর আহ্বান করেনি। জানা যায়, গত বৎসর ড. শবনম নিজ কর্মক্ষেত্র অর্থাৎ শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর পদে আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ইউজিসি-র নিয়মানুযায়ী ১২ বৎসরের অভিজ্ঞতা ও জার্নালে কোনো প্রকাশনা না থাকায় তাঁকে প্রকাশনাসহ কমপক্ষে আরও তিন বৎসর অপেক্ষা করতে বলা হয়। এরপর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভের জন্য তিনি মরিয়া হয়ে ওঠেন এবং যারপরনাই তদ্বির শুরু করেন। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাঁকে নিয়োগ দেয়ার উদ্দেশ্যে উক্ত নিয়োগ বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁদের পছন্দের লোকজনের সমন্বয়ে একটি নিয়োগ বোর্ড পুনর্গঠন করেন এবং সঙ্গীত একটি ক্রিয়াত্মক বা ব্যবহারিক বিষয় হওয়া সত্ত্বেও কোনো ব্যবহারিক পরীক্ষা কিংবা সাক্ষাৎকার গ্রহণ ছাড়াই কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে পুনর্গঠিত নিয়োগ বোর্ডের সভা গত ১৬.০২.২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, ড. মুশাররাত শবনম সর্বদিক দিয়ে প্রভাবশালী হওয়ায় কর্তৃপক্ষ অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন এবং উক্ত নিয়োগ বোর্ডের সভায় অত্যন্ত সুকৌশলে এবং অনিয়ম ও বিধি বহির্ভূতভাবে ড. মুশাররাত শবনমকে অধ্যাপক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় - যা ১০.০৩.২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় অনুমোদিত হয় এবং তিনি পরদিন (১১.০৩.২০১২) অপরাহ্নে নিয়োগপত্র পেয়ে যোগদান করেন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও প্রকাশনা না থাকার কারণে ড. শবনম তাঁর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর পদে আপগ্রেডেশন না পেলেও জাতীয় কবির নামাঙ্কিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিকই সরাসরি প্রফেসর পদে নিয়োগপত্র পেয়ে যোগদান করেছেন। এটা কি বর্তমান বিশ্বদ্যিালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাকর নয়? এটা কি বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করবে না?
 
বাংলাদেশে বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়- এই তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত বিভাগ চালু রয়েছে। এ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বর্তমানে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই অধ্যাপক পদে কেউ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জিত না হওয়ায় তিনি এখনও সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। অন্যদিকে বিশেষ প্রার্থী ড. শবনম-এর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যায় :

১.  শিক্ষা জীবনে তাঁর ১টি প্রথম বিভাগ, ২টি ২য় বিভাগ ও দুঃখজনক হলেও সত্য যে, উচ্চ মাধ্যমিকে তাঁর ৩য় বিভাগ রয়েছে (সংযুক্তি ২ দ্রঃ)। অন্যদিকে ইউজিসি-র নিয়মানুযায়ী কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই বর্তমানে ৩য় শ্রেণি/বিভাগপ্রাপ্ত কাউকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সুযোগ নেই।

২.    নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্বীকৃত গবেষণামূলক জার্নালে ৬টি প্রকাশনা; যার মধ্যে সহযোগী অধ্যাপক পদে ৩টি প্রকাশনা থাকতে হবে উল্লেখ থাকলেও জার্নালে তাঁর একটি প্রকাশনাও নেই। এ-ছাড়াও নিয়োগের আবেদনপত্রে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে মর্মে তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি ভুয়া ইনারসহ গ্রন্থসমূহের কিয়দংশ জমা দিয়েছেন। জানা যায়, ম্যাগনাম ওপাস নামের একটি প্রাইভেট প্রকাশনা সংস্থা (ম্যাগনাম ওপাস : ০১৯৩৭ ২৭৭৭৪৩, অজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা) থেকে ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় ২০১০ সালে তাঁর ‘নজরুল’স কন্ট্রিবিউশন ইন মিউজিক’ শীর্ষক একটমাত্র গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে- যা তাঁর নিয়োগ বোর্ডের দু’জন সদস্যকে উৎসর্গ করা হয়েছে। অবশিষ্ট দু’টি গ্রন্থের (‘দি পোযেট : কাজী নজরুল ইসলাম’ -ম্যাগনাম ওপাস : ০১৯৩৭ ২৭৭৭৪৩ এবং ‘ইভ্যালুয়েশন অফ বেঙ্গলি সং’ - অঙ্কুর প্রকাশনীর ফোন নম্বর ৭১১১০৬৯, বাংলা বাজার, ঢাকা) ভুয়া আইএসবিএন নম্বরসহ যে ইনার তিনি তাঁর আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিয়েছেন, ম্যাগনাম ওপাস ও অঙ্কুর প্রকাশনী-র সঙ্গে যোগাযোগ করলেই প্রমাণিত হবে যে, এ শিরোনামের উক্ত বই দুটির কোনো অস্তিত্ব পূর্বেও ছিল না, অদ্যাবধিও নেই- যদিও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশনা বলতে জার্নালে প্রকাশিত প্রবন্ধকে বোঝানো হয়েছে। তদুপরি এ ধরনের অভিনব জালিয়াতি ও প্রতারণা কি নৈতিক স্খলন নয়?

৩. নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ১২ বৎসরের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সরাসরি ০১.০৬.২০০৩-এ সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন ও পদোন্নতি পেয়ে (সংযুক্তি ৩-এর ‘এ’ ও ‘বি’ দ্রঃ)  গত ০১.০৪.২০০৮-এ সহযোগী অধ্যাপক পদে যোগদান করেন। সহকারী অধ্যাপক পদে প্রায় ৫ বৎসর ও সহযোগী অধ্যাপক পদে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্ব দিন অর্থাৎ ১০.০৩.২০১২ তারিখ পর্যন্ত গণনা করা হলেও প্রায় ৪ বৎসর অর্থাৎ তাঁর সর্বমোট চাকুরির অভিজ্ঞতা ৮ বৎসর ৯ মাসের। অথচ নজরুল বিশ্বদ্যিালয়ে অধ্যাপক পদে আবেদন করার সময় শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্থপতি হোসনে আরা রহমান-এর সহায়তায় জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তিনি ২০০৭ সাল (তারিখ বিহীন) থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন মর্মে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্থপতি হোসনে আরা রহমান স্বাক্ষরিত (তারিখ বিহীন) প্রত্যায়নপত্র (সংযুক্তি ৪ দ্রঃ) আবেদনপত্রের সঙ্গে দাখিল করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান-এর ৩১ মার্চ ২০০৮ তারিখে স্বাক্ষরিত এসএমইউসিটি /এডিএমএন/এপিটি/০৩৪/০৩ নম্বরের আদেশপত্রটি সঠিক এবং রেজিস্ট্রার স্থপতি হোসনে আরা রহমান স্বাক্ষরিত প্রত্যায়নপত্রটি অবশ্যই ভুয়া। এ ধরনের অনৈতিক কাজ কি প্রতারণা ও জালিয়াতি নয়? এ-ছাড়াও ড. শবনম সঙ্গীতাঙ্গনে কোনো খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিত নন।

৪.  আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত ৮ বৎসর ৯ মাসের অভিজ্ঞতার মধ্যে অজ্ঞাত কারণে তিনি শিক্ষকতার পরিবর্তে কর্মকর্তা হিসেবে রেজিস্ট্রার দপ্তরের অ্যাকাডেমিক শাখায় প্রায় ৫ বৎসর যাবৎ দায়িত্ব পালন করছেন এবং এই সময়ের মধ্যে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ব্যাপারে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. প্রদীপ কুমার নন্দী (মোবাইল : ০১৭১১ ২৪ ২০ ৬৫)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে ড. মুশাররাত শবনমের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জানা যাবে।

৫.  উপরন্তু, ভারতের বরোদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচ.ডি করার সময় (১৯৯৪-১৯৯৮) তিনি ৪/৫ বৎসরের অনারারী শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার সনদ জমা দিয়েছেন (সংযুক্তি ৫ দ্রঃ) -বিধি অনুযায়ী যা কখনও নিয়মিত চাকুরি হিসেবে গণনাযোগ্য নয়। অথচ তিনি তা নিয়মিত চাকুরি হিসেবে উল্লেখ করে নৈতিকতা-বিবর্জিত কাজ করেছেন।
 
সুতরাং, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে অধ্যাপকের মতো অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ পদে যাঁর শিক্ষা জীবনে একটি ৩য় বিভাগ রয়েছে, জার্নালে যাঁর কোনো প্রকাশনা নেই, যাঁর প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা (মোট শিক্ষকতা কিংবা সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে) নেই, সঙ্গীতাঙ্গনে যাঁর কোনো খ্যাতি নেই, অযোগ্যতা ও নৈতিক স্খলনের দায়ে যাঁকে গত ৫/৬ বৎসর ধরে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা নিতে দেয়া হয়নি এবং নিজেকে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী হিসেবে প্রমাণের জন্য অনৈতিকভাবে যিনি প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া প্রত্যায়নপত্র দাখিল করেছেন, সেই বিশেষ প্রার্থী ড. মুশাররাত শবনম-এর অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাতীয় কবির নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করার আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আমি আশা করি।

ধন্যবাদসহ,

(সুলতান মাহমুদ)
সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক
বাংলাদেশ টেলিভিশন, রামপুরা, ঢাকা।
মোবাইল : ০১৯১৫ ৭৫ ৬৩ ৪৭

সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হলো :

১.    মহামান্য রাষ্ট্রপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও চ্যান্সেলর, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।
২.    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৩.    মাননীয় মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
৪.    চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, সেগুনবাগিচা, ঢাকা।

বাংলাদেশ সময় ১২৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১২

এমএমকে; সম্পাদনা:  জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।