ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্থিতাবস্থার রায়ে আশাহত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
স্থিতাবস্থার রায়ে আশাহত আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারির রায়ে শিক্ষার্থীরা আশাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরতরা।  

বুধবার (১০ জুলাই) আন্দোলনের কেন্দ্র শাহবাগে সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ এ কথা জানান।

 

তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলে চার সপ্তাহের রায় দিত না। এটা সারাদেশে চলমান আন্দোলনকে দমানোর জন্য রাষ্ট্রীয় মেকানিজমের অংশ।

তিনি বলেন, আমাদের এবং নির্বাহী বিভাগের মধ্যে হাইকোর্ট এনে আমাদেরকে শত্রু বানাবেন না। আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। নির্বাহী বিভাগ চাইলেই সকল স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিশন গঠন করে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে দিতে পারে। তারা চাইলে আমাদেরকে রাজপথ থেকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে নিতে পারে।  

হাসনাত বলেন, কিন্তু আমরা দেখেছি তারা সমস্যাকে আরও ঘনীভূত করেছে। বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর মতো করে এই রায় হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি সুস্পষ্ট। দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। আমাদের পেছনে কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমাদেরকে রাজনৈতিক চশমা দিয়ে দেখবেন না৷ 

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।  

অর্থাৎ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের আগে যে অবস্থা ছিল সেই অবস্থায় থাকবে। এ বিষয়ে আগামী ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। পৃথক দুটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বুধবার এ স্থিতাবস্থা জারি করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।