জাবি: শেষ হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত ইরাসমুস মুন্ডাস এশিয়া-ইউরোপ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কর্মশালা।
রোববার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “ইরাসমুস মুন্ডাস এশিয়া-ইউরোপ স্কলারশিপের মাধ্যমে আমাদের ছাত্র-শিক্ষকরা বিশ্ব সংস্কৃতি, ভাষা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, চলমান উন্নয়ন, মানবিক মূল্যবোধ অর্জনের মধ্যদিয়ে বিশ্বায়নের যুগে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করার সুযোগ লাভ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কোঅর্ডিনেটর, সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মুনিরুজ্জামান।
বক্তব্য দেন- সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. কেজিল নেলসন, ইরাসমুস মুন্ডাস এশিয়া-ইউরোপ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের প্রজেক্ট ম্যানেজার এলিজাবেথ এক্সেল প্রমুখ।
ড. কেজিল নেলসন বলেন, “ইন্টারনেটের মাধ্যমে সঠিকভাবে জেনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। এ স্কলারশিপ অর্জনের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্র বাড়তে পারে। এ বৃত্তি প্রোগ্রামের মাধ্যমে এশিয়া ও ইউরোপের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া জানারও সুযোগ তৈরি হয়েছে। ”
কর্মশালা উপস্থাপনা করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আহমেদ রেজা।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় সভাপতি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অধ্যাপক ড. কেজিল নেলসন ও এলিজাবেথ এক্সেল লুন্ড ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ইরাসমুস মুন্ডাস এশিয়া-ইউরোপ স্কলারশিপ প্রোগ্রামে বাংলাদেশের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিগত শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত জন ছাত্র-শিক্ষক এ স্কলারশিপের আওতায় ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস, পিএইচডি এবং পোস্টডক্টরাল করার সুযোগ পেয়েছেন।
চলতি শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আট জন এ স্কলারশিপ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর