ঢাকা: এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের(একাংশ) অবস্থান ধর্মঘট তৃতীয় দিনের মতো চলছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মঙ্গলবার সকালেও থালা-বাটি বুকে নিয়ে শিক্ষকদের রাস্তায় শুয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ এম সুশান্ত বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। প্রতি বছরই নতুন এমপিওভুক্ত করা হবে। প্রথম বছর ১ হাজার ৬১২টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে চলতি অর্থবছরে এমপিওভুক্তির জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, এমপিওভুক্তি না হওয়ায় অর্থের অভাবে শিক্ষক-কর্মচারীরা ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারছেন না। সন্তানদের লেখাপড়া করাতে পারছেন না।
সরকার সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত ও স্বীকৃতি প্রদানের সময় থেকে বেতন-ভাতা প্রদানের পূর্ণ ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের চলমান এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের নেতারা।
এদিকে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান( স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি স্কুল ও কলেজ)এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নামের আরেকটি সংগঠন আন্দোলন চালিয়ে আসছে। গত ২ সেপ্টেম্বর তারা সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সংগঠনটির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. এশারত আলী জানিয়েছেন, ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেল ৩টায় সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। আর এ কারণে তারা গত ২ তারিখের ঢাকা মহানগরের কর্মসূচি স্থগিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১২
এআই/কেবি/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর