ঢাকা: আগের নিয়মে পরীক্ষার ভিত্তিতেই মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে ২০১২-২০১৩ সেশনের ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আগের নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে তৃতীয় বেঞ্চের শুনানিতে রোববার তিনি এ কথা বলেন।
এরপর তৃতীয় বেঞ্চের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ হলফনামা আকারে সোমবার এ সিদ্ধান্তের কথা আদালতকে জানাতে বলেছেন। এছাড়াও আগামীকাল পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন।
পরে মোতাহার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আদালতে বলেছি সরকার এবছর ভর্তি পরীক্ষার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর আদালত এ বিষয়টি হলফনামা আকারে উপস্থাপন করতে বলেছেন। আর আগামীকাল বাদীপক্ষের আইনজীবীকে খবর দিতে বলেছেন। সোমবার এ বিষয়ে শুনানি হবে।
এর আগে ২৭ আগস্ট এ নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা আবেদনে বিভক্ত আদেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী আবেদনটি গ্রহণ করে আগের নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল আবেদনটি খারিজ করে দেন।
পরে গত বৃহস্পতিবার নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের (তৃতীয় বেঞ্চ) একক বেঞ্চে পাঠান।
এর মধ্যে সরকার মেডিকেল পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বেঠক শিক্ষার্থীদেরকে রিট তুলে নিতে বলেছেন। তারপর সরকার ভর্তি পরীক্ষা নেবে।
এদিকে ২৭ আগস্ট জিপিএর ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিটের পরিরেক্ষিতে রুল জারি করেছিলো হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১৩ আগস্ট আবেদনটি দায়ের করেন জনৈক ডা.মিজানুর রহমান।
এর আগে ১৩ আগস্ট বিকালে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ভর্তির সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. ইউনুস আলী আকন্দ। এ রিটের শুনানি শেষে ১৪ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া জিপিএর ভিত্তিতে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে ওই সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করার আরজি জানানো হলেও আদালত সেদিন তা গ্রহণ করেন নি।
উল্লেখ্য, গত ১২ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ভর্তি-প্রক্রিয়া নীতিমালা প্রণয়ন-সম্পর্কিত সভায় সরকার মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়। এ ক্ষেত্রে আবেদনের জন্য ওই দুই পরীক্ষা মিলিয়ে কমপক্ষে জিপিএ-৮ থাকতে হবে। জিপিএ-৭ পাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও পূর্বের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বহাল রাখার দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আন্দোলনে নামেন মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা,সেপ্টেম্বর ০৯ , ২০১২
এমইএস/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর [email protected]