ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপ-উপাচার্য হাবিবুর রহমানকে প্রত্যাহার করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করার পর রোববার বিকেলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশারাফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, “ক্লাসে ফেরার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। ”
তিনি বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী আমাদের কথা দিয়েছিলেন এবং সে অনুযায়ী উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করাও হয়েছে।
আশারাফুল ইসলাম বলেন, “এখন ডিন কমিটির বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ক্লাসের ব্যাপারে। এরপর রেজিস্ট্রার ঘোষণা করলেই ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশাবাদী। ”
এর আগে বুয়েটের উপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম ও উপ-উপাচার্য ড. মো. হাবিবুর রহমানের অপসারণ দাবি করে গত ৫ মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলে শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেন।
আন্দোলনের মুখে গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপ-উপাচার্য অপসারণ করার আশ্বাস দেন।
উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে গত ৭ এপ্রিল বুয়েটে কর্মবিরতি শুরু করে শিক্ষক সমিতি। এরপর থেকে সমিতির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেও বুয়েটকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারেনি সরকার।
সর্বশেষ গত ৩ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক চলে মন্ত্রী, সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে শিক্ষক সমিতির।
আপাতত উপ-উপাচার্যকে প্রত্যাহার করা হবে বলে আশ্বস্ত করে ক্লাসে ফেরার জন্যে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন মন্ত্রী। কিন্তু শিক্ষার্থীরা উপাচার্যেরও অপসারণ ছাড়া দাবি মানবে না বলে জানান।
পরে ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীরা মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলে তারাও আশ্বস্ত হয়। কিন্তু একদিন অপেক্ষা করে ৭ আগস্ট প্রশাসনে রদবদল করার জন্যে সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।
আন্দোলনরতদের একের পর এক দাবির প্রেক্ষিতে এবং কোনোভাবেই ক্লাসে ফেরাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত গত ৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কীভাবে কঠোর হতে হয়, সরকার তা জানে। ”
এর একদিন পরই রোববার উপ-উপাচার্যকে প্রত্যাহার করে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির একটি পূরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর