বগুড়া: বগুড়ায় হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া দিনমজুর, সুবিধাবঞ্চিতদের শিক্ষা দেয় লালন একাডেমি। প্লে থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি সঙ্গীত শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয় এখানে।
মাত্র একজন শিক্ষক নিয়ে সদর উপজেলার শহরদীঘি এলাকায় গড়ে ওঠে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ধীরে ধীরে হাটি হাটি পা পা করে বর্তমানে প্রায় দেড়শত শিক্ষার্থীকে পাঠদান করানো হচ্ছে।
বিদ্যালয় চলে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। একজন কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে ২ জন সঙ্গীত শিক্ষকসহ মোট ৬ জন শিক্ষক পাঠদান করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শারমিন ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানান, সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশুদের শিক্ষা দিতে পেরে তিনি নিজেও আনন্দিত। এছাড়া আরও ভালো লাগে যখন বিদ্যালয়ের আশপাশের মানুষ এসে শিশুদের সঙ্গে গান শেখার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং এসব শিশুকে পাঠদানে উৎসাহিত করেন।
শিশুদের ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবশ্যই একদিন সারাদেশে বগুড়ার ভাবমূর্তি উজ্জল করে তুলবে।
লালন একাডেমির সভাপতি ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে তার বিদ্যালয়টি একাডেমিক স্বীকৃতি পায় এবং পাঠদান শুরু হয় ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে।
লালন একাডেমির জন্য ১৫ এবং বিদ্যালয়ের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পরিষদ আছে।
সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন কোনো আর্থিক সহযোগিতা করে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি জানান, তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) আনওয়ার হোসেন এবং বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ফেরদৌস আলম বই পুস্তুকসহ বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
এছাড়া আযিযুল হক কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ প্রফেসর এ.কে.এম সালামত উল্লাহ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান টি.এম.এস.এস এর নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা মাঝে মধ্যেই প্রতিষ্ঠানের খবর নিয়ে থাকেন। তাদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা সরকারি বই ও পশ্নপত্র ব্যবহার করে লেখাপড়া করেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা ডা. সামির হোসেন মিশু বিনামূল্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকেন।
বগুড়া লালন একাডেমি অল্প দিনেই বেশ এগিয়ে গেছে দাবি করে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আরও বলেন, ২০১১ সালে ভারতীয় হাইকমিশনার রাজীব মিত্রসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এসে লালন একাডেমির কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা একাডেমির প্রশংসাও করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ঘণ্টা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২
টি এম মামুন/সম্পাদনা: বেনু সূ্ত্রধর,নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর