ঢাকা: স্থগিত হয়ে থাকা ৩৩তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ১৮ ডিসেম্বর শুরু হবে। মঙ্গলবার রাতে সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ ই ম নেছারউদ্দিন এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, “আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। তবে পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে। ”
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর এ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একদিন আগেই ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিভ্রান্তি থেকে প্রার্থীদের রক্ষা করতে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এবারের ৩৩তম বিসিএস আবশ্যিক লিখিত পরীক্ষায় মোট চাকরি প্রার্থীর সংথ্যা হচ্ছে- ২৮ হাজার ৮১৭ জন। এর আগে চার হাজার ২০৬টি শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন রেকর্ডসংখ্যক ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯ জন। গত ১ জুন ৬ বিভাগের ১৪২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ৩৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।
এর আগে ২৯ ফেব্রুয়ারি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৮ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত এ পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ ও ফি জমা নেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনলাইনে ফরম পূরণ করে টাকা জমা দিতে না পারা ১১ হাজার ৫৭৩ জন আবেদনকারীও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা জমা দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন।
এবার বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে ৩০০, পুলিশ ৮৯, কর ৬৯, পররাষ্ট্র ১৬ জনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৫৮২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রফেশনাল/কারিগরি ক্যাডারে দুই হাজার ৫৭২ জন চিকিৎসকসহ দুই হাজার ৯০৫ জনকে নিয়োগ দেবে সরকার। বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে শিক্ষক হিসেবে ৬০৭ জন ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলোর জন্য ১১২ জন নিয়োগ পাবেন।
জানা গেছে, এরআগে ৩১তম বিসিএসে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ জন চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছিল। মাঝে ৩২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় ২৪ হাজার, ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৮ জন, ২৯তম বিসিএস পরীক্ষায় সোয়া এক লাখ প্রার্থী ও ২৮তম বিসিএস পরীক্ষায় ১ লাখ ১৫ হাজার ১৬৩ জন অংশ নেন। ২৭তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৯০ হাজার চাকরি প্রার্থী।
বাংলাদেশ সময় ; ১০৩৩ ঘন্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১২
এমএন / সম্পাদনা : সোহেল রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
[email protected]