ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শুক্রবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: মোবাইল, ঘড়ি নিষিদ্ধ

মাজেদুল নয়ন; স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১২
শুক্রবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: মোবাইল, ঘড়ি নিষিদ্ধ

ঢাকা: আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ১ ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা। এমবিবিএস ও বিডিএস ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

চলতি বছর এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৫৮ হাজার ৭২৩জন অংশ গ্রহন করছে।

পরীক্ষায় কেউ যেন কোন ধরনের অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে, সে জন্যে পরীক্ষা হলে মোবাইল ও ঘড়ি নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটরের পরিবর্তে সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ ধরনের ক্ষুদ্রাকার মাইক্রোচিপ লাগিয়ে পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস বা পাচার হতে পারে এমন আশংকায় শিক্ষার্থীদের এই ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ব্যবহার করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শাহ আবদুল লতিফ।

তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর সময় জানার জন্য প্রতি কেন্দ্রের প্রত্যেক কক্ষে দেয়াল ঘড়ি লাগানো হবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্র প্রধানকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

আবদুল লতিফ বলেন, পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই এইচএসসি পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর মেডিকেলের শিক্ষকদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষা প্রস্তুতি বিষয়ক এক সভায় শিক্ষকরা অভিমত দেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তির ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে পদার্থ বিজ্ঞান ২০, রসায়ন ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণজ্ঞান ১০ নম্বর অর্ন্তভুক্ত করা হয়।

পদার্থ বিজ্ঞানের ২০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫-৬ নম্বরের গনিত থাকবে যাতে পরীক্ষার্থীদের শূন্যস্থান পূরণ করতে হবে। তাই ক্যালকুলেটর, ঘড়ি ও মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষেধ করলেও পরীক্ষর্থীদের কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি জানান।

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে এবার আট হাজার ৪৯৩টি আসনের বিপরীতে ৫৮ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশে ২২টি সরকারি মেডিকেল কলেজে দুই হাজার ৮১১ এবং ৫৩টি বেসরকারি মেডিকেলে চার হাজার ২৪৫টি আসন রয়েছে। এ ছাড়া নয়টি সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে ৫৬৭টি আসন রয়েছে। আর ১৪টি বেসরকারি ডেন্টাল ইনস্টিটিউটে রয়েছে ৮৭০টি আসন।

বাংলাদেশ সময় :  ১০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১২
এমএন/সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর  
[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।