রাজশাহী: অবশেষে রাজশাহী সিটি মেয়রের মধ্যস্থতায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) অচলাবস্থার সমাধান হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুয়েট ক্যাম্পাসে উপচার্য ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক ফলপ্রসু আলোচনার পর এ সমঝোতা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারি ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিদিনই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ আন্দোলনের ফলে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। রুয়েট উপাচার্য প্রফেসর সিরাজুল করিম চৌধুরী ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা।
এ কারণে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতনও পাননি। এ নিয়ে রাজশাহীর মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা সভা করে কর্মসূচি প্রত্যাহারের আহবান জানালেও কাজ হয়নি। শেষপর্যন্ত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারদায় পুলিশ একাডেমিতে এলে সেখানে তাকে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর বিকেলে সিটি মেয়র রুয়েট ক্যাম্পাসে যান। সেখানে উপাচার্য ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরে আন্দোলন প্রত্যাহের ঘোষণা দেন উপাচার্য বিরোধীরা।
এসময় রুয়েট উপাচার্য জানান, আন্দোলনের অবসান হয়ে যাওয়ায় রুয়েটে রোববার থেকেই স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু হবে। আবারো পুরোদমে চলবে ক্লাস ও পরীক্ষা।
রাজশাহীর সিটি মেয়র বাংলানিউজকে জানান, আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে মেনে নেওয়ার শর্তে রুয়েটের অচলাবস্থার অবসান ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১২
এসএস/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর