ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবিতে শিক্ষক আন্দোলন অব্যাহত: কঠোর অবস্থানে শিক্ষার্থীরাও

ইবি সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১২
ইবিতে শিক্ষক আন্দোলন অব্যাহত: কঠোর অবস্থানে শিক্ষার্থীরাও

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। রোববারও তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।



এদিকে, ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে সকাল ১১টা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রথমে মহাসড়ক এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে সমাবেশ করেন।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। রোববার ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এ সময় সোমবার সকাল ১১টা থেকে অনশন ধর্মঘটে যাবেন বলে জানান শিক্ষক নেতারা।

অপরদিকে, ক্লাস-পরীক্ষার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন । রোববার সকাল ১১টা থেকে তারা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক ১ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। এ সময় সড়কের দু’পাশে কয়েকশ গাড়ি আটকা পড়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

এ বিষয়ে ‘গড়াই’ গাড়ির চালক বাবুল বাংলানিউজকে বলেন, “গোয়ালন্দ ফেরি বন্ধ থাকায় ঢাকা-খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব গাড়িই এ রুটে যাতায়াত করায় এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। তার ওপর ১ ঘণ্টা দেরি। বুঝতেই পারছেন, কী অবস্থায় আছি!”

পরে মহাসড়ক ছেড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবরোধ করে সমাবেশ করেন। অবরোধের সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর কোনো ধরনের গাড়ি যাতায়াত করতে দেননি।

এ সময় সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আইন বিভাগের সাকিল বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এখন কারাগারের চেয়েও ভয়ানক খারাপ। কারাগারের আসামিরা জানেন যে, তার কবে মুক্তি মিলবে। কিন্তু, আমরা জানিনা, আমরা কবে পড়ালেখা করে বের হবো। ”

বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাজ্জাদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা চালু রেখেছেন। কারণ, তারা সেখান থেকে নগদ মোটা অংকের টাকা পান। ”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষকরা কি চায় যে, আমরাও তাদেরকে টাকা দিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে আনি? যদি তাই চান, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দিক। আমরা তাদের কাছে প্রাইভেট পড়বো। ”

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- এনামুল, রতন, জনি, বিপ্লব, সাজু প্রমুখ।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আক্তারুল ইসলাম জিল্লু ও সহকারী প্রক্টর আলতাফ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১২
সম্পাদনা: শাফিক  নেওয়াজ সোহান, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।