ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিজয় দিবসের ছুটিতে পরীক্ষা-ক্লাস!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩
বিজয় দিবসের ছুটিতে পরীক্ষা-ক্লাস!

ঢাকা: ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির একটি মহান দিন।

অথচ এ দিন বেসরকারি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি-আইইউবিএটি শিক্ষার্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি বিভাগের এক শিক্ষক বিজয় দিবসের দিন ক্লাস-পরীক্ষা নিতে যাচ্ছেন।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

এদিকে, আইইউবিএটি-র কয়েকজন শিক্ষক কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে, জাবি কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করলেও একটি বিভাগের এক শিক্ষক বিজয় দিবসের দিন ক্লাস-পরীক্ষা নিতে যাচ্ছেন। কোনো যুক্তিতেই নৈতিকভাবে যেমন, তেমনি বাঙালি জাতির এ মহান দিনে সবারই ছুটি থাকার কথা, যাতে সবাই আনন্দে মেতে উঠতে পারেন।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি-আইইউবিএটি’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বাংলানিউজে পাঠানো এক বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।

তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মহান বিজয় দিবসের আনন্দ উপভোগ করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই রয়েছে। এই আনন্দের দিনে কেন আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে হবে? এটা মানা যায় না।

উল্লেখ্য, এর আগেও একদিনে তিন পরীক্ষার আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ ওঠে আইইউবিএটি’র বিরুদ্ধে।

সে সময় সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে একদিনে তিনটি পরীক্ষার আয়োজন করতে হচ্ছে। এটি শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের জন্যই।

অপরদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিজয় দিবসের ছুটিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা দিতে বাধ্য করছেন ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক শওকত হোসেন!

দিনটি সরকারি ছুটি হলেও আগামী সোমবার বিজয় দিবসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শনিবার বিকেলে জাবির ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা বাংলানিউজে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, শিক্ষার্থীরা অপারগতা প্রকাশ করলেও কিংবা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দায়সারা দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় রয়েছেন শওকত হোসেন।

কর্মকর্তারা বিবৃতিতে জানান, এর আগেও স্বাধীনতা দিবসে ওই বিভাগেরই আরেক শিক্ষক পরীক্ষা নেন। বিষয়টি তৎকালীন উপাচার্যকে জানানো হলেও সেই শিক্ষক যথারীতি পরীক্ষা নেন।

বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত জাতীয় একটি মহান দিবসে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য কিনা এ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা!

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।