ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

যশোর বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও এ প্লাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
যশোর বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও এ প্লাস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর : ২০১৩ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) যশোরে বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ও শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।

এবছর ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৩ জন কৃতকার্য হয়েছে।

এ বোর্ডে পাসের ৮৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৭০৪ শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানে।

যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালের জেএসসি পরীক্ষায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৩ উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৭০৪ জন।

গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩ হাজার ৯৭৮ জন। গত বছরের তুলনায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজার ৭২৬ জন।

এছাড়া এ গ্রেড পেয়েছে ৫৩ হাজার ৪৬৮ জন। গত বছর এ গ্রেড পেয়েছিল ৩১ হাজার ৬০ জন। এবছর এ মাইনাস গ্রেড পেয়েছে ৩৫ হাজার ৯৪১ জন। গত বছর এ মাইনাস গ্রেড পেয়েছিল ৩২ হাজার ১৩৯ জন। এবছর বি গ্রেড পেয়েছে ২৯ হাজার ২৯২ জন। গত বছর  বি গ্রেড পেয়েছিল ৩৫ হাজার ৯৩৩ জন। এবছর সি গ্রেড পেয়েছে ২২ হাজার ৫১২ জন।

গত বছর সি গ্রেড পেয়েছিল ৪৬ হাজার ৪২০ জন। এবছর ডি গ্রেড পেয়েছে ১ হাজার ৬৭৬ জন। গত বছর  ৪ হাজার ৯১১ জন ডি গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল।

এবছর পাসের হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। এবছর পাসের হার বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ। এবছর বোর্ডের ৩২৯টি স্কুলে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। যা গত বছরের তুলনায় এ স্কুলের সংখ্যা ৭২টি বেশি। আর মোটেই শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি এমন স্কুল রয়েছে ৫টি।

যশোর বোর্ডের ফলাফলে খুশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক কর্মকর্তারা। ফল প্রকাশের পর স্কুলে স্কুলে সৃষ্টি হয় উৎসব আমেজ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা অঙ্গণ।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আবু দাউদ বাংলানিউজকে জানান, ঠিক সময়ে বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। আর পাঠদান পরিকল্পনা, তদারকি, বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষকদের আন্তরিকতায় পাসের হার বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, এবারের পরীক্ষার্থীরা প্রাথমিক সমাপনী পিএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় ব্যাচ  হওয়ায় তাদের পরীক্ষা ভীতি কেটে গেছে। এতে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করতে পেরেছে।

রোববার দুপুর ২টায় যশোর প্রেসকাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মুহম্মদ আবু দাউদ আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।