ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেড়েছে পাস ও জিপিএ-৫

ইসমাইল হোসেন ও মাজেদুল নয়ন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
বেড়েছে পাস ও জিপিএ-৫ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হরতাল-অবরোধসহ প্রতিকূল রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র মাদ্রাসা সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। এবার পাস ও জিপিএ-৫ দু’টোই বেড়েছে।


 
দুই পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন।
 
রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
 
দুই পরীক্ষায় মোট অংশ নেয় ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮০ জন, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৪১ হাজার ৭২৬।
 
দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন।
 
শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেএসসিতে অংশ নেয় ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী, গত বছর ছিল ১৫ লাখ ৭ হাজার ৬৭৫। এবার পাস করেছে ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৩১৩ জন, শতকরা হিসেবে ৮৯.৭১ ভাগ। গত বছর পাস করে ১২ লাখ ৯৮ হাজার ১৮৮ শিক্ষার্থী, শতকরা হিসেবে তা ৮৬.১১ ভাগ।
 
এবার জেএসসিতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৯৭ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ১৫৮।
 
এ বছর প্রথমবারের মতো চতুর্থ বিষয়ে নম্বর যোগ হওয়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
 
জেডিসি পরীক্ষায় এবার মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৮০, গত বছর ছিল ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৫১। এবার পাস করেছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯৬ জন। গত বছর ছিল ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৬২। এবার পাসের হার ৯১.১১ ভাগ, গত বছর ছিল ৯০.৮৭ ভাগ।
 
এবার জেডিসিতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৯ হাজার ২১১ জন, গত বছর ছিল ২ হাজার ৭৮৪ শিক্ষার্থী।
 
৮টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকায় ৮৭.৯৩ ভাগ, রাজশাহীতে ৯৩.৮৮ ভাগ, কুমিল্লায় ৯০.৪৫ ভাগ, যশোরে ৮৯.০৩ ভাগ, চট্টগ্রামে ৮৬.১৩ ভাগ, বরিশালে ৯৬.৬০ ভাগ, সিলেটে ৯১.১৫ ভাগ এবং দিনাজপুরে ৮৮.৯১ ভাগ।
 
এছাড়া মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে পাস করেছে ৯১.১১ ভাগ শিক্ষার্থী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সৃজনশীল প্রশ্নপত্র এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অন্যান্য উদ্যোগের কারণে ফল ভালো হয়েছে।
 
এছাড়া বিদেশের ৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতে ৪৬১ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪৭৫ জন। পাসের হার ৯৭.০৫ ভাগ।
 
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১০ সাল থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষা চালু করে।
 
গত ৩ বছরের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১০ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৭, ২০১১ সালে ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৫, ২০১২ সালে ১৯ লাখ ১০ হাজার ৫০৮।
 
২০১২ সালের মোট পাস করে ১৬ লাখ ১ হাজার ৭৫০ জন, ২০১১ সালে ১৫ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ এবং ২০১০ সালে ১০ লাখ ২০ হাজার ৪৭।
 
এই তিন বছরে জিপিএ-৫ পেয়েছে যথাক্রমে ৪৬ হাজার ৯৪২, ৩০ হাজার ৮৫২ এবং ৮ হাজার ৫৫৬ শিক্ষার্থী।
 
এ বছর মোট ২৭ হাজার ৬৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এই সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৫৯৭টি।
 
এবার শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর ৪ হাজার ৮৯৯টি থাকলেও এবার তা হয়েছে ৪ হাজার ৯৯৭টি।
 
এবার মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪২০টি। গতবার থেকে এবার কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে ১৭০টি।
 
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তাসলিমা বেগমসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

বিরোধী দলের টানা অবরোধের কারণে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা কয়েক দফা পেছাতে হলেও ঘোষিত সময়ের মধ্যেই এবার ফল প্রকাশ হলো।

মোবাইল ফোন থেকে জেএসসির ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

একইভাবে জেডিসির ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে JDC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

ফিরতি এসএমএসে শিক্ষার্থীর ফল জানানো হবে।

এছাড়া পরীক্ষার্থীরা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে।

গত ৪ নভেম্বর থেকে পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও বিরোধীদলের অবরোধের কারণে দেরিতে শুরু হয়ে ১৭টি বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যায়। ২০ নভেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় ২২ নভেম্বর।

উল্লেখ্য, সোমবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীর ফল প্রকাশ করা হবে।

জেএসসি’তে পাস ৮৯.৭১, জেডিসিতে ৯১.১১

রাজশাহীতে ভালোফল করেছে ছেলেরা
সবার সেরা ভিকারুন নিসা

রাজনৈতিক বাধাতেও ভাল করেছে শিক্ষার্থীরা
জেএসসিতে পাসের হারে সেরা বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
চট্টগ্রামে জেএসসিতে পাশের হার ৮৬.১৩, শীর্ষে খাস্তগীর
জেএসসিতে সিলেট বোর্ডে পাসের হার ৯১.১৫
তৃতীয় হয়েও প্রথম স্থানের দাবি রাজউক কলেজের
বেড়েছে পাস ও জিপিএ-৫
বিদেশি কেন্দ্রে পাশের হার ৯৭ শতাংশ
রাজনৈতিক অস্থিরতায় ফল প্রকাশেও নিরানন্দ হলিক্রস
ঢাকা বোর্ডে সেরা ১০ প্রতিষ্ঠান
ময়মনসিংহে পাশের হার ৮৫.২২ শতাংশ
রাজশাহী বোর্ডে বগুড়া শীর্ষে
সিলেটে সেরা ক্যাডেট কলেজ
জেএসসিতে যশোর বোর্ডের সেরা ২০
যশোর বোর্ডে সেরা ২০-এ খুলনার ৭ স্কুল
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৪৫
জেএসসি ফলাফলে ভালো করেছে মেয়েরা
ঢাকা বোর্ডের সেরা ২০-এ ময়মনসিংহের ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সেন্ট জোসেফে ৯৬ শতাংশ জিপিএ-৫
ঐচ্ছিক বিষয় ও অভিজ্ঞতায় ভালো ফল
রেসিডেন্টসিয়াল মডেল কলেজ ৬ষ্ঠ
শিক্ষার্থীরাই ভালো ফলাফলের প্রধান নিয়ামক
জেএসসিতে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সেরা ২০
রাজশাহী বোর্ডে মেধা তালিকায় বগুড়ার ৮ স্কুল
কুমিল্লা বোর্ডে চতুর্থ ফেনী গালর্স ক্যাডেট কলেজ
বরিশাল বোর্ডে এবারও মেয়েরা এগিয়ে
রাজশাহী বোর্ডের পাঁচ স্কুল থেকে কেউ পাস করেনি!
জেএসসিতে সুনামগঞ্জে মেয়েরা এগিয়ে
সিলেট শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে মেয়েরা এগিয়ে

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর; নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।