ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সাতক্ষীরায় প্রাথমিকে পাসের হার ৯৯.৪৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সাতক্ষীরায় প্রাথমিকে পাসের হার ৯৯.৪৪

সাতক্ষীরা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে সাতক্ষীরায় প্রাথমিকে পাসের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৪৪ এবং ইবতেদায়ীতে শতকরা ৯৭ দশমিক ৪৩।

জেলায় গতবারের তুলনায় এবার প্রাথমিকে পাসের হার বেড়েছে ০ দশমিক ৭১ ভাগ।

কিন্তু ইবতেদায়ীর ফলাফলে পাসের হার কমেছে ০ দশমিক ১৪ ভাগ।

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে জেলার ২ হাজার ২৭৭ জন শিক্ষার্থী এবং ইবতেদায়ীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪ জন শিক্ষার্থী। এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রাথমিকে কমেছে, ইবতেদায়ীতে বেড়েছে।

২০১২ সালে প্রকাশিত ফলাফলে জেলায় প্রাথমিকে ২ হাজার ৫২১ জন এবং ইবতেদায়ীতে ১৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল। তবে, জিপিএ-৫ অর্জনে এ বছর বালকদের পেছনে ফেলে বালিকারা এগিয়ে গেছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে দেবহাটা উপজেলার শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। অপরদিকে, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আশাশুনি উপজেলার শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।

গত দু’বছরের পরিসংখ্যানে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে পিছিয়ে গেছে কলারোয়া উপজেলা এবং এগিয়েছে কালিগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার্থীরা।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জেলায় মোট ৩৪ হাজার ৮২৫ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে সব বিষয়ে ৩৩ হাজার ৮০৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৯৩ জন পরীক্ষার্থী। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১১।

এর মধ্যে ১ হাজার ৯৩ জন বালক এবং ১ হাজার ১৮৪ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

অপরদিকে, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৫ হাজার ৭২ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ১৩৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ হাজার ৭ জন পরীক্ষার্থী। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২৯। এর মধ্যে ২৮ জন বালক এবং ৩৬ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৭ হাজার ২৯৫ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে সব বিষয়ে ৭ হাজার ১০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৩১৩ জন বালক এবং ৩৪০ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় ৭২ জন কম। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ এর সংখ্যা। পাসের হার বালক শতকরা ৯৯ এবং বালিকা শতকরা ৯৯ দশমিক ০৮ ভাগ।

ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৩৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ হাজার ৮৮ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে বালক ২৮ এবং বালিকা ৩৬ জন, যা গতবারের তুলনায় ৩৬ জন বেশি।

আশাশুনি উপজেলায় ৫ হাজার ৫১ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৮৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১৩৯ জন বালক এবং ১৪৪ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়েছে যা গতবারের তুলনায় ৭৩ জন কম। পাসের হার বালক ৯৯ দশমিক ৫৭ এবং বালিকা শতকরা ৯৯ দশমিক ৪৮ ভাগ।

ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ৭২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৬৪ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে বালক ৭ এবং বালিকা ১০ জন, যা গতবারের তুলনায় ১৫ জন বেশি।

কলারোয়া উপজেলায় ৪ হাজার ৬৩ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে বালক ৪৬ এবং বালিকা ৬৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় ১০৮ জন কম।

ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ৫৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৫৪ জন। গত বছর কেউ না পেলেও এবছর বালক ১ জন এবং বালিকা ৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার বালক ৯৩ দশমিক ৯৮ এবং বালিকা ৯৭ দশমিক ৪৮ ভাগ।

কালিগঞ্জ উপজেলায় ৫ হাজার ১০৭ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৯৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২২৮ জন বালক এবং ২৩৭ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গতবারের তুলনায় ৯০ জন বেশি।

ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৬৯ জন। এর মধ্যে গত বছর কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও এবছর ১ জন বালক এবং ৬ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার বালক ৯৭ দশমিক ৮৯ এবং বালিকা ৯৮ দশমিক ৯২ ভাগ।

তালা উপজেলায় ৫ হাজার ৩১০ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ১৮৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১৪১ জন বালক এবং ১৪৫ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গতবারের তুলনায় ২৪ জন কম। পাসের হার বালক ৯৮ দশমিক ১৮ এবং বালিকা ৯৮ দশমিক ৫৩ ভাগ।

ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ৭২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৮৪ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে বালক ৭ জন এবং বালিকা ২ জন, যা গতবারের তুলনায় ৩ জন বেশি। পাসের হার বালক ৯৫ দশমিক ৫৬ এবং বালিকা ৯৩ দশমিক ৩১ ভাগ।

দেবহাটা উপজেলায় ২ হাজার ৩৭ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯৮৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। শতভাগ পাস করা এই উপজেলায় ৭২ জন বালক এবং ৯২ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গতবারের তুলনায় ২ জন বেশি।

ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ২৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২২৫ জন। এর মধ্যে গত বছর কেউ জিপিএ-৫ না পেলেও এবছর ১ জন বালক এবং ১ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়েছে। পাসের হার ১০০ ভাগ।

শ্যামনগর উপজেলায় ৫ হাজার ৯৬২ জন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ৭১৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ১৫৪ জন বালক এবং ১৬০ জন বালিকা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় ৫৯ জন কম।

ইবতেদায়ী পরীক্ষায় ৯২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৭৫২ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে বালক ৯ জন এবং বালিকা ৭ জন, যা গতবারের তুলনায় ১৩ জন বেশি। পাসের হার বালক শতভাগ এবং বালিকা ৯৯ দশমিক ৭৮ ভাগ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৩
সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।