ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৪
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত করার আহ্বান ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত কর‍ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক আইন উপদেষ্টা ও আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল।

বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের হল রুমে নিজের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং সম্পূর্ণ অসত্য’ অভিযোগ এনে একটি দৈনিক পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।



শাকিল অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির প্রেসিডেন্ট এমএ হান্নান ফিরোজের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুষ্কর্মের কালো থাবায় অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠটি এখন ধ্বংসের মুখে।

‘দুর্নীতিবাজ’ এম এ হান্নান ফিরোজকে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

দেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় নিজের বিরুদ্ধে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ প্রসঙ্গে শাকিল দাবি করেন, বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে আমি এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন উপদেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পরিচয় দিচ্ছি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আইন উপদেষ্টার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওই পরিচয় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।

এ সময় তিনি এমএ হান্নান ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তিনি হয়েও ভুয়া ডক্টরেট পদবি লাগিয়ে ২০০২ এর ১২ জানুয়ারি থেকে ২০১১ এর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চ্যান্সেলর এবং বোর্ড অব ট্রাস্টির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া, তিনি স্ট্যামফোর্ড ট্রাস্টকে ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানি থেকে ৬ জনের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করেন বলেও অভিযোগ করেন শাকিল।

আত্মীয়তার খাতিরে অযোগ্য লোকদের স্ট্যামফোর্ডে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দাবি করে শাকিল বলেন, প্রক্টর বিএ পাশ হলেও তাকে প্রফেসর দেখিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার এইচএসসি পাশ, কিন্তু তিনি নিজেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী বলে দাবি করেন।

শাকিল দাবি করেন, এমএ হান্নানের অপকর্ম এবং দুর্নীতির বিষয়গুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে লেখার কারণে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি। এরপরও আমি সত্য প্রকাশে পিছপা না হওয়ায় সামাজিকভাবে আমাকে হেনস্থা করার জন্য দেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যা সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন’।

সংবাদ সম্মেলনে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষার্থী অংশ নিলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।