ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবির ৩০ শিক্ষকের পদত্যাগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪
খুবির ৩০ শিক্ষকের পদত্যাগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ৩৩টি প্রশাসনিক পদ থেকে ৩০জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন।

একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. আফরোজা পারভীনকে অপমানের প্রতিবাদসহ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে তারা এই পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগকারীদের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, ছাত্র বিষয়ক সহকারী পরিচালক, হল প্রভোস্ট ও সহকারী হল প্রভোস্টরা রয়েছেন।

১৮ জানুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. আফরোজা পারভীন উপস্থিত হলে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা সরোয়ার ড. আফরোজার অংশগ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তার উপস্থিতিতে সভা না চ‍ালানোর দাবি করেন।

ড. মোস্তফা বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটে প্রায় দুই মাস আগে অধ্যাপক আমিরুল মোমেনিন নামে একজন সিনিয়র অ্যধাপক যোগদান করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী তাকে ইনস্টিটিউটের পরিচালক করার কথা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা না করায় ড. আফরোজার উপস্থিতিতে সভা চলতে পারে না।

এমন দাবির প্রেক্ষিতে সভায় উপস্থিত উপাচার্যসহ একাডেমিক কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্য নিরব থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে ড. আফরোজা বুধবার উপাচার্যের কাছে ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন।      

পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে ড. আফরোজাকে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় অপমান করা হয়েছে দাবি করে ৩৩টি প্রশাসনিক পদ থেকে ৩০ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন।

এ ব্যাপারে প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যা বলেছেন তা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম এবং প্রাকটিস অনুযায়ীই বলেছেন।

পদত্যাগকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক ড. অনির্বাণ মোস্তফা সন্ধ্যা ৭টা ৩২মিনিটে বাংলানিউজকে বলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালককে অপমান করার প্রতিবাদ এবং চারুকলাকে পূর্ণাঙ্গ স্কুল করতে বাধাদানের প্রতিবাদসহ ২টি কারণ উল্লেখ করে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।

পদত্যাগকারী ড. আফরোজা পারভীন বলেন, উপাচার্যের উপস্থিতিতে এ ধরনের আচরণ কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। সে কারণে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তখন আমি দপ্তরে ছিলাম না। রোববার ফাইল দেখে বলতে পারবো কতজন এবং কি কারণে পদত্যাগ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ফায়েক উজ্জামানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।