ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৪
রাবিতে বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কুয়াশা আর শীতকে উপেক্ষা করে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তুলেছেন ক্যাম্পাস।

 

শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে তারা।

 

 

প্রায় দুই হাজার ছাত্রীর অংশগ্রহণে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল চলছে। ছাত্রদের উপস্থিতি সকালে তেমন লক্ষ করা যাচ্ছে না। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রদের উপস্থিতি কয়েকগুণে বাড়বে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।

 

শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ছাত্রদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের প্রায় দুই হাজার ছাত্রীর অংশগ্রহণে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরে সমাবেশের জন্য জমায়েত হচ্ছেন।  

 

আন্দোলনরত ছাত্রীরা জানান, তারা যে দাবিতে আন্দোলন করছেন সেগুলো সব তাদের যৌক্তিক দাবি। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কোনো ভয়ভীতি ও ককটেল ফাটিয়ে এ আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারবে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রয়োজন আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন তারা বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার ধর্মঘট পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এদিন কোনো বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ধর্মঘট চলাকালে শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় বাক-বিতণ্ডার, হাতবোমা বিস্ফোরণও ঘটনা ঘটেছে।  

 

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ও কলা অনুষদের সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স চালু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসহ বিভিন্ন ফি দুই থেকে পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়। ১৬ জানুয়ারি থেকে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গত মঙ্গলবার থেকে বর্ধিত ফি ও সান্ধ্যকোর্স বিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এর ব্যানারে জোরালোভাবে আন্দোলন চলছে।

 

এরআগে ২০০৮ সালে দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ব্যবসা অনুষদে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স চালু করেন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তখন দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে পারেননি। তবে ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আইন ও ব্যবসা অনুষদে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স বন্ধের দাবিতে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। মাত্র ১৫দিনের আন্দোলনে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা স্থগিতের সিন্ধান্ত নেয়।

 

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।