ঢাকা: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিবপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ৩৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। সিরাজগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে তারা প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নেয়।
রোববার মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবু লাইস এ তথ্য জানান। এদিনই সারাদেশে দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রথমদিন ছিল কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিনাবেতনে শিক্ষকরা শিক্ষাদান করে আসছেন। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্তির জন্য ওই সময়ের স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় শিক্ষামন্ত্রীকে আধা সরকারি পত্র(ডিও লেটার)দিয়েছিলেন। মহাজোট সরকারের সময় এমপিওভুক্তির ১ম তালিকায় আমাদের মাদ্রাসার নাম ছিল। সে হিসেবে আনন্দ উদ্দীপনায় শিক্ষকরা বিধি মোতাবেক ব্যাংক একাউন্ট খোলাসহ সার্বিক কার্যাদি সম্পন্ন করেন।
কিন্তু পরের তালিকায় আমাদের মাদ্রাসার নাম বাদ দেওয়া হয়। শিক্ষক-কর্মচারীরাসহ শিক্ষার্থীরাও হতাশ হয়ে পড়েন। তারপরও বলবো আমাদের ফল জেলার অনেক মাদ্রাসার চেয়েও ভাল।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকারা একেবারে শুরু থেকে শিক্ষার্থীদেরকে নিবিড় ভাবে পড়াশোনা করাচ্ছেন। যার ফলশ্রতিতে সব পরীক্ষার ফলাফল জেলার মধ্যে প্রথম দিকেই। এবারের দাখিল পরীক্ষায়ও আমাদের ছেলেরা বরাবরের মতোই ভালো করবে। সবারই প্রত্যাশা, এবার মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হোক।
আর এমপিওভুক্তির জন্য তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সৃদষ্টি কামনা করেন।
বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি উল্লেখ করে এমপিওভূক্তির পাশাপাশি একাডেমিক ভবন দরকারও বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ম্রাদাসাটির সহ সুপার কাজী ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সবাই জড়িত। তাই বেতন না পেয়েও নানা অভাব অনটনের মধ্যেও সবাই নিয়মিত ক্লাস নেন। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বুঝতেও দেন না তাদের ভেতরে জমে থাকা বেদনা। এমপিওভুক্তি হলে শিক্ষকেরা আরও বেশি মনোযোগী হবেন। প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠবে জেলার মধ্যে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান।
২০১৩ সালের দাখিল পরীক্ষাসহ চলতি বছরের জেডিসি ও এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মাদ্রাসার ভাল ফলের বিবরণও তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলসহ মহাজোট সরকারের আমলেও এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেও বঞ্চিত হয়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৪